হলদিয়া বন্দরে বিক্ষোভ।
অবশেষে অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত হলদিয়ায়।
বৃহস্পতিবারই স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড ( সেল )-এর আটকে পড়া জাহাজ থেকে পে-লোডারের মাধ্যমে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। আর ওই দিন থেকেই কাজ হারানোর আশঙ্কায় বন্দরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ঠিকা সংস্থা ‘ফাইফ স্টার’-এর কর্মীরা। শুক্রবারও দিনভর তাঁরা বিক্ষোভ দেখান হলদিয়ায় জওহর টাওয়ারের সামনে।
আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি প্রদীপ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পণ্য খালাসের যে নতুন টেন্ডার হয়েছে সেখানে কার্গোপুলের কর্মীদের কাজের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে আমাদের সংস্থাকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা কাজ হারানোর আশঙ্কা করছি।’’ এমনকী কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার দাবিও জানান তাঁরা। রিপ্লে-র জেনারেল ম্যানেজার প্রসিত সিংহের দাবি, ‘‘ওই কর্মীরা যে কাজ করেন সে বিষয়টি টেন্ডারে উল্লেখ নেই। তাছাড়াও বন্দর কার্গোপুলের অস্তিত্ব অস্বীকার করছে। পণ্য লোডিংয়ের উপযোগী ওয়াগান পেলে আমরা পণ্য লোডিং করব। না হলে সমস্যা হবে।’’
তবে সব জল্পনার অবসান করে অবশ্য ওই ঠিকা সংস্থার মালিক শেখ মুজাফফর বলেন, ‘‘পণ্য খালাসের নতুন নিয়ম চালুর কারণেই রিপ্লে আমাদের কাজ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। তবে অন্য রিপ্লে-সহ বিভিন্ন পণ্য খালাকারী সংস্থা আমাদের কাজ না দিলেও বন্দরের স্বার্থে আমার সংস্থার কর্মীরা আপাতত কাজ চালু রাখবে।’’
এ দিকে পে-লোডার নিয়ে জটিলতার কাটার ফলে হলদিয়া বন্দরে দাড়িয়ে থাকা স্টিল অথরিটি অব ইণ্ডিয়া (সেল)-এর দুটি জাহাজের পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ওই দুটি জাহাজ থেকে রিপ্লে অ্যান্ড কোম্পানির পে-লোডার দিয়ে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবারের মধ্যে দুটি জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ শেষ হওয়ার কথা।