সাদ্দামের সঙ্গে নিহত মা ও মেয়ে। —ফাইল চিত্র
হলদিয়ার ঝিকুরখালিতে মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাদ্দামের একাধিক ছবির পোস্টার পড়ল এগরায়।
পুরভোটের আগে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলার সমিতির লাগানো এই পোস্টার ঘিরে সরগরম এগরার রাজনীতি। গত কয়েক সপ্তাহ আগে হলদিয়ার ঝিকুরখালিতে মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সাদ্দাম-সহ একাধিক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সাদ্দাম এবং তার সাগরেদরা তৃণমূলের হয়ে বুথ দখল করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তারপরও শুভেন্দুর সঙ্গে একফ্রেমে একাধিক বার তার ছবি সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে।
পোস্টারে শুভেন্দুর সঙ্গে সাদ্দামের ছবি ছেপে তৃণমূলের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক অপর্ণা দাস। মঙ্গলবার শুভেন্দু এবং সাদ্দামের এই পোস্টার দেখা যায় এগরা মিলনী বাজারে। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, ‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা মারতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিল সাদ্দাম হোসেন। মুহূর্তে ছাড়া পেয়ে যায় শয়তানটা। রিয়া দে (মেয়ে) ও রমা দে (মা)-কে এক সঙ্গে পুড়িয়ে মারল শুভেন্দু অধিকারীর পোষা পিশাচটা’।
এই পোস্টার ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র
এ বিষয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষ মুখ খুলতে ভয় পেত। এখন সেই ভয় মানুষ আর পাচ্ছে না। তাই মন্ত্রীর নামেও প্রতিবাদ পোস্টার পড়ছে।’’
যদিও সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কমিটির অপর্ণা দাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। এই প্রসঙ্গে এগরা শহর তৃণমূলের সভাপতি জয়ন্ত সাহু জানান, ‘‘শুনেছি একটা পোস্টার পড়েছে। তবে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার জেলা নেতৃত্ব বলবেন।’’