মঙ্গলবার এই বার্জটিই রওনা হয় পটনায়। হলদিয়ায় নিজস্ব চিত্র
দেশের প্রধান নদীপথগুলিতে পণ্য পরিবহণে জোর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তরফে চালু করা হয়েছে ‘সাগরমালা’ প্রকল্প। সেই প্রকল্পের অংশ হিসাবে এই প্রথমবার হলদিয়া থেকে পটনা পর্যন্ত নদীপথে শুরু হল পণ্য পরিবহণ।
বন্দর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারক একটি বেসরকারি সংস্থার পণ্য বোঝাই বার্জ আনুষ্ঠানিকভাবে পটনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাতে ৫০টির বেশি কন্টেনার রয়েছে। ওই সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অনিল কুমার সিংহ বলেন, ‘‘বার্জে ৫২টি কন্টেনারে ভোজ্য তেল রয়েছে। বাকি চারটি খালি কন্টেনার গিয়েছে।’’ আগামী দিনে হলদিয়া বন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে জলপথে পণ্য পরিবহণ করা হবে বলে এদিন বেসরকারি ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ জলপথ বিভাগের এক ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, হলদিয়া থেকে পটনার দূরত্ব ৯২০ কিলোমিটার। ১ নম্বর জাতীয় জলপথ ধরে বার্জ পৌঁছে যাবে পটনায়। সময় লাগবে ২৫ দিন। হলদিয়া বন্দর সূত্রের খবর, হলদিয়া থেকে পটনা যাওয়ার পথে কলকাতার বালি, দক্ষিণেশ্বর এলাকায় গঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নদীর জলের স্তর যতক্ষণ পর্যন্ত না কমছে, ততক্ষণ ওই বার্জ যাতায়াতে কিছুটা হলেও অসুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহণ খরচ এবং দূষণের মাত্রা নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এনডিএ সরকার জলপথের মাধ্যমে পরিবহণে গুরুত্ব দেয়। গত বছরই ঘোষণা করা হয়েছিল, বনগাঁ থেকে বারাণসী পর্যন্ত নদী পথে চলবে পণ্য পরিবহন। তার জন্য ইতিমধ্যে হলদিয়ার পাতিখালিতে একটি টার্মিনাল বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার বাজেটে ওই টার্মিনালের অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
এর মধ্যে এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে হলদিয়া থেকে পটনা পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ শুরু হওয়ায় খুশি শিল্প আর বন্দর শহর। পণ্য পরিবহণের সূচনার পরে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি চেয়ারম্যান জি সেন্থিলভেল সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘‘এখন পরীক্ষামুলকভাবে পণ্য পরিবহন শুরু করা হল। তবে আগামী দিনে হলদিয়া থেকে বারানসী পর্যন্তই পণ্য পরিবহন চলবে।’’