অভিযানে পুলিশ ও প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।
রেশন দোকানে দুর্নীতি নিয়ে হামেশাই অভিযোগ ওঠে। তা রুখতে মাঝে মধ্যে দোকানে অভিযান চালান প্রশাসনের আধিকারিকেরা। শনিবার এমনই একটি অভিযান চালালেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। উদ্ধার করলেন রেশন দোকানের পাশের একটি গুদামে লুকিয়ে রাখা প্রায় দু’লক্ষ টাকার রেশন সামগ্রী।
জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, এ দিন তমলুকের রামতারক হাটের কাছে একটি রেশন দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল যে, দোকানের পাশে একটি গুদামে রেশন সামগ্রী লুকিয়ে রাখা হত। পরে নির্দিষ্ট দিনে তা বিক্রি করা হত। এদিন ওই গুদামে হানা দিয়ে বেশ কয়েক বস্তা চাল, গম, আটার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য দু’লক্ষ টাকা। গুদামটি কার, কে ওই ব্যবস্যা করত, সে নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি।
অভিযানে ছিলেন তমলুক থানার সাব-ইনস্পেক্টর সত্যজিৎ চানক। ওই সব উদ্ধার হওয়া সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বলেন, ‘‘ন্যায্য মূল্যের রেশন সামগ্রী নিয়ে বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারি করত। অভিযোগ পেয়ে আমরা একটি রেশন দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বেআইনিভাবে মজুত থাকা রেশন সামগ্রী পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার তমলুক মহাকুমার বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে এভাবে আচমকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। তখনও ধরা পড়েছিল বেআইনিভাবে মজুত রাখা রেশন সামগ্রী। এ দিন পুনরায় ফের রেশন সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার পরে জেলাজুড়ে রেশন সামগ্রী নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ আরও জোরাল হল। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরে রেশন ডিলার মালিক সংগঠনের জেলা সম্পাদক মাধব পাঁজা বলেন, ‘‘রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো। রেশন প্রাপকদের প্রাপ্য সামগ্রী নিয়ে ফড়েরা গুদামজাত করেছিলেন। এদিন সেখানেই হানা দিয়েছিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। এর সঙ্গে রেশন ডিলারের কোনও সম্পর্ক নেই।’’