শহরের বাসিন্দাদের নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চালু হতে চলছে ঘাটাল পুর হাসপাতাল। আজ, বুধবার শহরের রাজীব নিলয়ে অস্থায়ী ভাবে ওই হাসপাতালের উদ্বোধন হবে। বর্ষার পর শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের গম্ভীরনগরে হাসপাতালের নিজস্ব ভবনের কাজ শুরু হবে। তবে আজ থেকে রাজীব নিলয়েই প্রতিদিনের চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে। পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “শহরের সমস্ত স্তরের মানুষ পুরসভার হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। দু’জন চিকিৎসক দিয়ে পরিষেবা চালু হচ্ছে। পরে চিকিৎসকের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি জনসংখ্যা থাকলেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প জাতীয় আরবান স্বাস্থ্য মিশনের কাছ থেকে হাসপাতাল তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য সহ অনান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে পুরসভাগুলি। জন সংখ্যা বেশি হলে দু’টি বা তারও বেশি সংখ্যক হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থাটি। সেই সূত্রেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে ঘাটাল শহরেই প্রথম পৌর হাসপাতাল চালু হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ওই প্রকল্পে জেলার খড়্গপুর ও মেদিনীপুর পুরসভাও দু’টি করে হাসপাতালের তৈরির অনুমোদন পেয়েছে।
চলতি আর্থিক বছরে ঘাটাল পুরসভাকে পৌর হাসপাতাল তৈরির জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে জাতীয় আরবান স্বাস্থ্য মিশন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য-কর্মীদের বেতন দেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন।
পুর হাসপাতালে প্রাথমিক ভাবে আউটডোরের সুবিধা থাকবে। প্রতিদিনই খোলা থাকবে হাসপাতাল। থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও। আউটডোরে চিকিৎসক দেখানোর পর রোগীদের বিনা পয়সায় ওষুধ সরবরাহ করবে পুর-কতৃর্পক্ষ। প্রয়োজনে রোগীরা রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি, এক্সরে-সহ অনান্য পরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন। পুর এলাকার বাসিন্দারাই পুর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “পুরসভা দেখভাল করলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর নিয়ন্ত্রণ করবে ওই পুর হাসপাতাল।”