ভুয়ো আইপিএস অফিসার পরিচয় দেওয়ায় গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। শনিবার সুতাহাটার বিডিও অফিসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় সিকদারকে ফোন করে দেখা করতে চেয়েছিলেন ইন্দ্রনীল বসু নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকায়। ইন্দ্রনীল নিজেকে ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস বলে পরিচয় দেন। সেই মতো শনিবার সুতাহাটায় বিডিও-র সঙ্গে দেখা করেন ইন্দ্রনীল। জানান, হলদিয়ায় আইপিএস পরীক্ষা দিতে উৎসাহী ছাত্রছাত্রীদের পড়াবেন। সে জন্য বিডিও-কে একটি ভাড়া বাড়ি খুঁজে দিতেও অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকায় থানায় খবর দেন বিডিও।
থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধরা পড়ে যান ইন্দ্রনীল। পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘১৯৮৬ সালের ব্যাচে বা তার আগে পরে ওই নামের কেউ নেই বলে জানার পরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় সিকদার বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি দাবি করেন এনআইএ-র দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু সেখানে ঠিক কী করতেন, কাদের সঙ্গে কাজ করেছেন জিজ্ঞাসা করলে অসংলগ্ন উত্তর দিতে শুরু করেন। সন্দেহ সেখানেই হয়। কোন বছর আইপিএস পাশ করেছেন তাও ভুল বলতে শুরু করেন।’’
ধর্ষণের নালিশ। এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও অত্যাচার চালানোর অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল রামনগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন ধরেই কাজের সূত্রে বিদেশে থাকেন। আর সেই সুযোগে ওই মহিলার শ্বশুর তাঁকে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ। এমনকী ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামী ফিরলে তাঁকে অভিযোগ জানালে উল্টে জুটত মার। তবে সম্প্রতি ওই মহিলা রামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।