ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের কর্মসূচিতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
দু’দিন আগেই ঝাড়গ্রামে রোড শো করে গিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জমায়েতও হয়েছিল ভালই।
এ বার ঝাড়গ্রামেই কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত করে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বিরবাহা সরেন দাবি করলেন, জেলার জামবনি, বেলপাহাড়ি, লালগড়, ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লক ও ঝাড়গ্রাম শহর মিলিয়ে প্রায় চার হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। শনিবার দুপুরে শহরের দেবেন্দ্রমোহন মঞ্চে ওই দলবদল হয়। বিজেপি-র অসংগঠিত শ্রমিক মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি-র জেলা আইটি সেলের প্রাক্তন আহ্বায়ক ডাম্পি নন্দী, বিজেপি-র জেলা সম্পাদক অশোক মাহাতো, বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা পরিবহন মোর্চার আহ্বায়ক রাজু দে, বেলপাহাড়ি মহিলা মোর্চার নেত্রী সবিতা মাহাতোর মতো গেরুয়া শিবিরের কয়েকশো নেতা-নেত্রীর নামের তালিকা পড়েন বিরবাহা। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
দলের তরফে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াই জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগে এমন বড়সড় দলবদল কীভাবে সম্ভব হল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই দলবদলের ব্যাপারে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে সরাসরি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। টিম পিকে-র তরফে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারপর কারা দলবদল করছেন সেই তালিকা টিম পিকে-র মাধ্যমে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়। শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই দলবদল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সভায় বিরবাহা ছাড়াও ছিলেন বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা, দুলাল মুর্মু, চূড়ামণি মাহাতো, জেলার প্রবীণ তৃণমূল নেতা প্রসূন ষড়ঙ্গী-সহ জেলা তৃণমূল ও দলের শাখা সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা। দেবেন্দ্রমোহন হলে ঠাসাঠাড়ি ভিড়ের মাঝে বিরবাহা বলেন, ‘‘এনআরসি, সিএএ নিয়ে বিজেপি-র একাংশের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই এ দিন হাজার-হাজার বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার শপথ নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’
বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী পাল্টা বলছেন, ‘‘একমাত্র ডাম্পি নন্দী আমাদের প্রাক্তন সদস্য। মাস তিনেক আগে উনি দল ছেড়েছেন। বাকিরা কেউই আমাদের দলের নন।’’ সুখময়ের দাবি, বিজেপি-র অনুশাসন মেনে যাঁরা চলতে পারেন না, তাঁরা দল ছেড়ে চলে যান।