flood

Bengal Flood: পথের খানাখন্দে নাকাল চার মন্ত্রীও

ফেরার পথে রাস্তার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মানস এবং বাকি তিন মন্ত্রীও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশপুর ও চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ০৫:৫৬
Share:

কেশপুরের ঝেঁঁতলায়। বৃহস্পতিবার।

জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথেই খানাখন্দে নাকাল হলেন জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া-সহ পশ্চিম চার মন্ত্রীও। মানসকে বলতেও শোনা যায়, ‘‘রাস্তার এ কী অবস্থা!’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার জলমগ্ন কেশপুরে আসেন মানসরা। ফেরার পথে রাস্তার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মানস এবং বাকি তিন মন্ত্রীও। দেখেন, কালভার্টের একাংশ ভেঙেছে। কিন্তু রড দেখা যাচ্ছে না। অবাকই হন মন্ত্রীরা। তাহলে কি রড ছাড়াই কালভার্ট হয়েছে! পাশেই ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষরা। মানসের নির্দেশ, ‘‘কবে এটি তৈরি হয়েছে দেখুন। কোন ঠিকাদার সংস্থা তৈরি করেছে, তাও দেখতে হবে।’’

পরিদর্শক দলে থাকা কেশপুরের বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা মানসকে জানান, রাস্তার প্রকল্প চূড়ান্ত। দু’কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে কাজ তবে শুরু হচ্ছে না। রাস্তাটি কার অধীনে, কে তৈরি করবে, জানতে চান মানস। শিউলি জানান, জেলা পরিষদ করবে। বিডিও-র আশ্বাস, ‘‘এ বার কাজ শুরু হবে।’’ জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে এ দিন কেশপুরের ঝেঁতলায় এসেছিলেন মানস, শিউলিরা। ছিলেন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, শ্রীকান্ত মাহাতোও। বিশ্বনাথপুর-খড়িকা রাস্তা ধরেই ঝেঁতলায় পৌঁছন চার মন্ত্রী। এই রাস্তারই কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে। কোথাও গর্ত। জলে তলিয়ে ঝেঁতলায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিজনেদের সঙ্গে দেখা করে সরকারি আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মন্ত্রীরা। মানস বলেন, ‘‘একটি নয়া পয়সাও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য দেয়নি।’’ সঙ্গে তিনি জুড়েছেন, ‘‘সেচ দফতর পলি কাটার জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে। পুজোর পরে কাজটা শুরু হবে।’’

Advertisement

এ দিন চন্দ্রকোনাতেও যান মানস, শিউলি ও হুমায়ুন। শিলাবতীর বাঁধ ভেঙে চন্দ্রকোনার দুটি ব্লকের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। মন্ত্রীরা চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের কুলদহ এবং পাইকপাড়ায় গিয়ে দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করেন। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের রাজগঞ্জেও যান তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement