—প্রতীকী চিত্র।
চোর সন্দেহে নন্দকুমার থানার বহিচবেড়িয়া গ্রামে গণপ্রহারে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চারজন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে তমলুক-ময়না রাজ্য সড়কে ওই গ্রামে একটি মুদির দোকানে চুরি করতে এসেছিল এক দুষ্কৃতী দল। চুরির সময়েই স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পেরে ছুটে এলে দুষ্কৃতীদলের তিন সদস্য পালিয়ে গেলেও ওই যুবক ধরা পড়ে যায়। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের একাংশের গণপ্রহারে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সমীরণ জানা নামে বছর তিরিশের ওই যুবকের বাড়ি হলদিয়ার ভবানীপুর থানার চাউলখোলা গ্রামে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বুধবার দোকানের মালিক-সহ ৬ জন গ্রামবাসীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অচিন্ত্য ভৌমিক, দীপক ভৌমিক, প্রশান্ত দাস ও আকাশ মান্না। ধৃত চারজনই স্থানীয় বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাঁদের তমলুক আদালতে তোলা হলে পুলিশ অচিন্ত্যকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায়। বিচারক তাঁর চারদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি তিনজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে দোকানে চুরির অভিযোগে সমীরণকে ধরার পরে গ্রামবাসীদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করে। এমনকী ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সমীরণকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে জানান। তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, গণপ্রহারে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে তমলুক থানার রামতারকহাটে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে সাইকেল চুরির অভিযোগে দু’জনকে আটক করে বাসিন্দারা। খবর পেয়েই তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের বাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।