লালমোহনের বাড়িতে তদন্তে ফরেন্সিক দল। নিজস্ব চিত্র
বিস্ফোরণের দু’দিন পরে খেজুরির বিজেপি নেতার বাড়িতে এল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির প্রতিনিধি দল। আধ ঘণ্টা ধরে দলের সদস্যেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গত সোমবার সকালে খেজুরি ২ ব্লকের কটকা দেবীচক গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি লালমোহন মাইতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয় লালমোহনের ছেলে শিবুরঞ্জন-সহ নাবালক নাতি। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, এলাকায় অশান্তির জন্য বিজেপি শিবুদের বাড়িতে বোমা মজুত এবং বানাচ্ছিল। পরে পুলিশ শিবু এবং আরও ন’জনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার খেজুরি আসে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির প্রতিনিধি দল। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ লালমোহনের বাড়িতে পৌঁছয়। সীমা বাগচীর নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে তিনজন মহিলা ছিলেন। তাঁরা লালমোহনের বাড়ির দোতলার যে ঘরে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেখানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। সীমা বাগচী বলেন, “আমরা নমুনা সংগ্রহ করতে এসেছিলাম। তা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি। তবে এর রিপোর্ট কী হয়েছে, তা পরে পুলিশ জানাবে।’’
এ দিন এলাকায় মাঝেমধ্যেই হয়েছে বৃষ্টি। তার মধ্যেই বহু গ্রামবাসী লালমোহনের বাড়ির চত্বরে জড়ো হন। গ্রামবাসীরা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানান, লালমোহনের বাড়িতে মাটির নীচেও একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরটিও পরীক্ষা করার জন্য প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন তাঁরা। এ ছাড়া, গ্রামবাসীদের দাবি, লালমোহনের বাড়ির পাশে একটি পুকুরে এখনও বোমা ভাসছে। সেই সব পরিদর্শনেরও আর্জি জানান গ্রামবাসীরা।
পুকুরে বোমা ভাসার প্রসঙ্গে ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিরা জানান, ইতিমধ্যে বম্ব স্কোয়াড এসেছিল। তারা সেটি দেখবে। তা ছাড়া এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে। তাই এসব নিয়ে যা বলার বা করার, তা খেজুরির পুলিশই করবে।
পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি। দলের খেজুরি-২ মণ্ডল সভাপতি শুভ্রাংশু দাস বলেন, “এ ভাবে ফরেন্সিক দলকে খেজুরিতে এনে তৃণমূল আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’ তৃণমূলের খেজুরি-২ ব্লক কার্যকরী সভাপতি অতীন নন্দ বলেন, “ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ পেলে আসল তথ্য সামনে আসবে। তখন খেজুরির বিজেপি নেতা-কর্মীদের মুখোশ খুলে যাবে। তাই এখন থেকেই চক্রান্তের গল্প শোনাচ্ছে তারা।’’