চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার পর সরকারের কাছ থেকে টাকা কৃষকদের টাকা না দেওয়া এবং ধান কেনার কাজে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের মোট ২০ টি সমবায় সমিতিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
ধান কেনার পর্যালোচনা করতে জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতি, চাল কল মালিক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে শনিবার নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাঘরে বৈঠক করতে আসেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, খাদ্য দফতরের প্রধান সচিব অনিল ভার্মা, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি প্রধান উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, জেলাশাসক রশ্মি কমল ছিলেন।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘রাজ্যের অধিকাংশ সমবায় সমিতি ভালভাবে ধান কেনার কাজ করছে। অনেক সমবায় সমিতি চাষিদের ধান কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েও টাকা দেননি বলে অভিযোগ এসেছিল। আমরা ওই চাষিদের টাকা দিয়েছি।’’
বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী ও পরিবহণ মন্ত্রীর সামনে এগরা- ২ ব্লকের সমবায় সমিতির কর্তারা অভিযোগ করেন সরকারি সহায়কমুল্যে ধান কেনার কাজ করার ক্ষেত্রে ব্লক প্রশাসনের তরফে সাহায্য করা হচ্ছে না। অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে খাদ্য দফতরের প্রধান সচিব অনিল ভার্মা এগরা -২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিওকে ধমকের সুরে বলেন, ‘‘সমিতিগুলির আপনারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন না। রাইস মিল ও সমবায় সমিতিগুলি পরিদর্শনের কাজ ঠিকমত করছেন না। এটা কেন হবে?’’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের রাজত্বে সবাইয়ের খাদ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আমলাশোলের মত এলাকায় দুটি রেশন দোকান খোলা হয়েছে।’’ বিধানসভায় বিরোধীদের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট, কংগ্রেসের সাথে তৃতীয় ভাই বিজেপি।’’ অসুস্থ আব্দুল মান্নানকে মুখ্যমন্ত্রীর দেখতে যাওয়ার খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘উনি মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন। বামফ্রন্ট নেতারা যেমন নেতাজিকে, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। তেমনি একদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হবে আমরা ভুল মুল্যায়ন করেছি।’’