খুদেদের ভিড় শহরের পার্কে। নিজস্ব চিত্র।
ক’দিন বাদেই বড়দিন। তারপর নতুন বছরের শুরু। জমাটি শীতে একেবারে উৎসবের মরসুম। সেই পরিবেশকে আরও জমজমাট করতে মেদিনীপুরের পার্কে লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পার্কে লোক টানতে কোনও দিন থাকবে ছৌ নাচ, কোনও দিন ঝুমুর অথবা বাউল গানের আসর।
এই উদ্যোগ যৌথ ভাবে বন বিভাগ এবং তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের। দুই বিভাগের কর্তারা মেদিনীপুরে এক বৈঠকও করেছেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গোপগড় পার্ক এবং ক্ষুদিরাম পার্কে এই অনুষ্ঠান হবে। মেদিনীপুরের এই দুই পার্কেই সব থেকে বেশি ভিড় হয়। বন বিভাগের আশা, এর ফলে পার্কে আসা লোকজনের সংখ্যা বাড়বে। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “মেদিনীপুরের দু’টি পার্কে লোকশিল্পীরা অনুষ্ঠান করবেন। এর ফলে পার্কে আসা দর্শকদের যেমন বিনোদন হবে, তেমনই লোকশিল্পের প্রসার হবে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিক নন্দীরও আশা, “এই উদ্যোগ ফলপ্রসূই হবে।”
রাজ্য সরকারের লোকপ্রসার প্রকল্পের অধীনে লোকশিল্পীরা রয়েছেন। তাঁরাই পার্কে অনুষ্ঠান করবেন। কে কবে কোন পার্কে যাবেন, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। মেদিনীপুরের এক লোকশিল্পীর কথায়, “পার্কে বহু মানুষ আসেন। অনুষ্ঠান সকলের ভাল লাগলে শিল্পীদের সেটাই প্রাপ্তি।” বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, পার্কে অনুষ্ঠান করার জন্য লোকশিল্পীদের পারিশ্রমিক দেবে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। আর তাঁদের টিফিনের ব্যবস্থা করবে বন বিভাগ। সবমিলিয়ে, এ বার শীতের পার্কে এলে উপরি পাওনা বাউল-ছৌ-ঝুমুরই!
শীত পড়লেই শহর ও শহরতলির পার্কে ভিড় জমে। কেউ সপরিবার পিকনিকে আসেন, কেউ আসেন মন ভাল করতে। ছুটির দিনে ভিড় বাড়ে। শীতের মরসুমে মেদিনীপুর বনবিভাগের পার্কগুলি থেকে মাসে গড়ে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আয় হয়। তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগের এক কর্তার কথায়, “এই শীতে পার্কে পার্কে প্রচুর ভিড় হয়। সেখানে লোকশিল্পীরা অনুষ্ঠান করলে নিশ্চিত ভাবেই ভিড় আরও বাড়বে।”