শুক্রবার কোলাঘাটের জমজমাট ফুল বাজার। নিজস্ব চিত্র
টানা চার মাস চলছিল দামের খরা। অবশেষে খরা কেটে জন্মাষ্টমীতে দাম বাড়ল ফুলের। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফুলের জোগানও রয়েছে ভাল। এতেই খুশি ফুল চাষি-ব্যবসায়ীরা।
ফুল চাষের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ফুলচাষ হয় পাঁশকুড়া ব্লকে। ২০২০ সালে লকডাউনের পর থেকে টানা প্রায় এক বছর ফুল কার্যত অবিক্রি হয়ে যায়। গত বছর পুজোর সময় থেকে ফুলের বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে। কিন্তু চলতি বছর জানুয়ারি মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর ফের দাম পড়ে যায় ফুলের। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন ফুলচাষিরা। চৈত্র মাসে ফুলের বিক্রি একেবারে কমে যায়। পুজো আর বিয়ের মাস হল বৈশাখ। তবে বৈশাখে একবার দাম বাড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
এদিকে, বছর বর্ষায় এখনও বড় কোনও দুর্যোগ না হওয়ায় অক্ষত রয়েছে গাঁদা, দোপাটি, জুঁই, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুলের বাগান। ফুলের উৎপাদনও হচ্ছে ভাল। এর পরেও এতদিন দাম না মেলায় হতাশ ছিলেন ফুলচাষিরা। কিন্তু ১৫ অগস্টের সময় থেকে একটু একটু দাম বাড়তে শুরু করে সমস্ত ধরনের ফুলের। জন্মাষ্টমীর ঠিক আগে ফুলের দাম এক লাফে এক সপ্তাহ আগের দামের দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বরের শেষেই দুর্গাপুজো। ফলে এবার ফুলের দাম ধারাবাহিক ভাবে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কোলাঘাটের কুখাবাড় গ্রামের ফুলচাষি দিলীপ প্রামানিক বলেন, ‘‘চার কাঠা জমিতে দোপাটি চাষ করেছি। এক সপ্তাহ আগেও ভাল দাম ছিল না। তবে এই কয়েকদিন ভাল দামে ফুল বিক্রি হচ্ছে। বর্ষায় বাগান নষ্ট না হলে ফুলের উৎপাদনআরও বাড়বে।’’
জন্মাষ্টমীর কারণে বৃহস্পতিবার থেকে কোলাঘাট ফুল বাজারে ভিড় বেড়েছে। বেচাকেনাও হচ্ছে যথেষ্ট। সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘বৈশাখ মাস থেকে ফুলের দাম খুব কম ছিল। ফুলচাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু জন্মাষ্টমীর আগে ফুলবাজার বেশ চাঙ্গা।’’