—নিজস্ব চিত্র।
মর্মান্তিক ঘটনা ঘাটাল পুরসভা এলাকায়। বাড়ির সামনে জমা জলে তলিয়ে গেল সৌম্য চানক নামে বছর ছয়েকের এক বালক। ঘটনার সময়ে সঙ্গেই ছিলেন বাবা শ্রীহরি। ছেলেকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে তাঁর পক্ষেও সম্ভব হয়নি। ভেসে গিয়েছে ছেলে। পরে জল নামলে ছেলের নিথর দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন শ্রীহরি। সৌম্যর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
ক্রমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে হুগলির গোঘাটে। বন্যার জল বাড়িতে ঢুকে বালি পঞ্চায়েতের দিগরা গ্রামে মৃত্যু হয়েছে কমলা দাস নামে ১০২ বছরের এক বৃদ্ধার। জল ঢোকায় বাড়ির অন্য সদস্যরা ভিটে ছাড়লেও বেরোতে পারেননি শয্যাশায়ী কমলা। মাটির বাড়ির ভিত আলগা হয়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যান তিনি। পরে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের উদ্যোগে কমলার দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ডেবরা থানার আদলিপুর গ্রামেও দেওয়াল চাপা পড়ে বাসুদেব মান্ডি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার সকালে গোঘাটের লক্ষ্মীপুর গ্রামে বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন শুভাশিস দাস ও শিবু দাস নামে দুই ব্যক্তি। শুভাশিসকে বাঁচানো সম্ভব হলেও শিবুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বিকেলে জল নামতে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় ১৭ বছরের শিবুর নিথর দেহ। তাঁকে উদ্ধারের জন্য এলাকায় নামানো হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও।