একটি সেলুনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ তাঁর চার অনুগামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে কাঁথি-৩ ব্লকের কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মশাগাঁ গ্রামের এই ঘটনার পর মারিশদা থানায় অভিযোগ জানান সেলুন মালিক গৌরাঙ্গ বারিক। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ মান্না ও তার চার অনুগামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি সরকারি জায়গার উপরে বছর দেড়েক ধরে রয়েছে সেলুনটি। সেলুনের মালিক গৌরাঙ্গবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, সেলুন খোলার পর থেকেই তৃণমূল বুথ সভাপতি সচ্চিদানন্দ ও তার অনুগামীরা প্রায়ই তার কাছ থেকে সরকারি জায়গায় গুমটি ফেলে ব্যবসা করার জন্য একশো দুশো টাকা তোলা আদায় করতেন। তিনিও দিতেন। গত ১৮ এপ্রিল সচ্চিদানন্দ ও তার চার অনুগামী তাঁর কাছে কুড়ি হাজার টাকা তোলা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। তখন সচ্ছিদানন্দ ও তার অনুগামীরা তার সেলুনে ভাঙচুর চালায়। গৌরাঙ্গবাবু স্থানীয় কুসুমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যকে বিষয়টি জানানোর পর গত ২৬ এপ্রিল একটি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে তিনি উপস্থিত হলেও অভিযুক্তরা আসেনি। এরপরই সোমবার রাতে সেলুনে আগুন লাগানো হয়। সচ্চিদানন্দ ও তার চার অনুগামীওই আগুন লাগিয়েছে গৌরাঙ্গ বারিক মারিশদা থানায় মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করেন।
সিপিএমের মারিশদা জোনাল কমিটির সদস্য ঝাড়েশ্বর বেরার অভিযোগ, ‘‘ গৌরাঙ্গ বারিক একসময় সিপিএম করলেও রাজনৈতিক পালা বদলের পর তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। শাসক তৃণমূলের এখন এমন অবস্থা যে দলীয় সমর্থকদের কাছ থেকেও তোলা আদায় করছে। তোলা না পেয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের ঘরে দোকানে আগুন লাগাচ্ছে।” অন্য দিকে তৃণমূলের কাঁথি-৩ ব্লক সভাপতি সমরেশ দাসের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এরকম ঘটনা ঘটলে প্রশাসন নিশ্চয়ই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”