রেলবস্তিতে পুড়ল মহিলা সমিতির অফিসঘর

খড়্গপুর দমকলের ওসি নির্মল মুর্মু বলেন, “আমরা খবর পেয়েই একটি ইঞ্জিন নিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কী ভাবে আগুন লেগেছিল তা বোঝা যাচ্ছে না।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১২
Share:

ঘটনাস্থলে প্রদীপ সরকার। নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে রেল এলাকায় পুরসভার পথবাতির খুঁটি গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ বার রেলবস্তিতে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কার্যালয়, হোটেল পুড়ে যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়াল রেলশহর খড়্গপুরে।

Advertisement

বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর শহরের চাউনা টাউন রেলবস্তিতে। রাত দেড়টা নাগাদ ওই এলাকায় ‘দীপ মহিলা সমিতি’ নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসঘরে আগুন লেগে যায়। দ্রুত ছড়ায় আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় অফিসের যাবতীয় আসবাব। আগুন ছড়ায় পাশের একটি হোটেলেও। সেই হোটেলের একাংশও পুড়ে যায়। এ ভাবে পরপর ঝুপড়িতে আগুন ছড়ানোয় শোরগোল পড়ে। আসে পুলিশ। পরে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। কী ভাবে ওই স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির কার্যালয়ে আগুন লাগল তা নিয়ে সংশয়ে দমকল কর্তৃপক্ষও। খড়্গপুর দমকলের ওসি নির্মল মুর্মু বলেন, “আমরা খবর পেয়েই একটি ইঞ্জিন নিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কী ভাবে আগুন লেগেছিল তা বোঝা যাচ্ছে না।” ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় গত ৮ বছর ধরে ওই মহিলা সমিতির কার্যালয় রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে মহিলাদের সাহায্যে করা হয়, মাদক বিরোধী প্রচার চালানো হয়। সম্প্রতি তেলঙ্গানায় গণধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদও জানিয়েছিল সংস্থাটি। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর পরে অকাল হোলিতে মেতেছিলেন সমিতির মহিলারা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে সেই মহিলা সমিতির কার্যালয় ও লাগোয়া হোটেলে আগুন লাগার খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভ দেখান মহিলা সমিতির সদস্যরা। সমিতির অভিযোগ, ওই আগুন লাগানো হয়েছে। কে লাগিয়েছে তা পুলিশকে খুঁজে বের করার আবেদন জানিয়েছেন মহিলারা। ওই মহিলা সমিতির সম্পাদক রোকিয়া বিবি ওরফে লক্ষ্মী বলেন, “আমরা লাগাতার নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমাদের কোনও শত্রু নেই বলে জানি। কিন্তু এই আগুন যে কেউ বা কারা পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়েছে তা বুঝতে পারছি।”

খবর পেয়ে এ দিন ওই এলাকায় যান বিধায়ক তথা খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, “আমি ওঁদের আপাতত কিছু অর্থ সাহায্য করেছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement