—প্রতীকী ছবি।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে। প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মহিষাদল থানার পুলিশ।
অভিযোগকারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, মহিষাদলের জগতপুরের বাসিন্দা শোভন পট্টনায়কের স্ত্রীর সঙ্গে বছর চারেক আগে মহিষাদল গার্লস কলেজে কর্মরত নাটশাল-২ পঞ্চায়েতের সদস্য শারমিনারা বিবির পরিচয় হয়। সেই সময় শারমিনারা জানান, তাঁর স্বামী শফিউল খান নবান্নে পুলিশে কর্মরত। শোভন পট্টনায়ক এবং তাঁর স্ত্রীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় সাড়ে ষোলো লক্ষ টাকা নেন শারমিনারা। ঘটনার পর বছর তিনেক কেটে গেলেও শোভন বা তাঁর স্ত্রী এখনও চাকরি পাননি। তাঁরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন শারমিনারা। একপরই প্রতারিতরা মহিষাদল থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে শারমিনারা এবং তাঁর স্বামী সফিউল খানের বিরুদ্ধে।
শোভন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যা শাসক দলের কর্মী এবং এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। তিনি একটি কলেজে কর্মরত রয়েছেন। তাই তাঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। যখন তিনি চাকরি দিলেন না এবং টাকাও ফেরত দিলেন না তখন বুঝতে পারলাম আমরা ফাঁদে পড়েছি। ঘরবাড়ি, জমি বিক্রি করে ওঁর হাতে সমস্ত টাকা তুলে দিয়েছিলাম। এখন সর্বস্বান্ত হয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতে হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শারমিনারার সঙ্গে এই সংক্রান্ত যাবতীয় কথোপকথনের রেকর্ড আমার কাছে আছে।’’
শারমিনারা বিবির অবশ্য দাবি, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।’’ বিজেপির মহিষাদল-৩ মণ্ডল সভাপতি বৃহস্পতি মাজি বলেন, ‘‘তৃণমূল দুর্বৃত্তের দল। ওদের জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের টাকা পকেটস্থ করাই কাজ।’’