বেলদায় বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হামলার অভিযোগ— নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ সামনে আসছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সোমবার রাতে নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা থানা কমিয়াচক গ্রামে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে।
বাড়ির আসবেস্টসের চালা, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগ বেলদা থানায় জানানোর কথাও বলেও জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য কবিতা পাল দাস। চাকরির প্রতিশ্রুতিপত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর কর্মসূচিতে গিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
সোমবার বিকেলের পর ওই গ্রামে বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্রের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা গিয়েছিলেন কর্মসূচিতে। অভিযোগ কবিতার স্বামী তথা বিজেপি-র বুথ সভাপতি পিন্টু দাসকে ডাকা হয়নি। তাই পিন্টু এবং তাঁর সঙ্গীরা প্রচারপত্র গুলি ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দেন। তারপরেই গন্ডগোল শুরু হয়। কবিতা বলেন, ‘‘সোমবার রাতে মণ্ডল সভাপতি-সহ প্রায় ১০০ জন বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে। গ্রামের উন্নয়নের কথা বলাতে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে গন্ডগোল চলে আসছে দলের মধ্যে। দলের কর্মী হয়ে পঞ্চায়েতের কাজ করতে বাধা পাচ্ছি। ওদের মূল উদ্দেশ্য উন্নয়ন করা যাবে না। সোমবার রাতে আমার স্বামীকে খুঁজতে এসে তাঁকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর এবং মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে মণ্ডল সভাপতির নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা।’’
যদিও মন্ডল সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্র জানিয়েছেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যে অভিযোগ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘দলের কর্মীদের মধ্যে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল তার দলের অভ্যন্তরে মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা বিজেপি-রই পঞ্চায়েত সদস্যাকে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। টেন্ডারে বাধা দিচ্ছে। পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিবাদ করায় তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’’