পাঁশকুড়ায় কাঁসাই নদীবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামতি চলছে।
কংসাবতী ব্যারাজের ছাড়া জলে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন। কাঁসাই ও চণ্ডীয়া নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, ময়না, তমলুক, নন্দকুমার ব্লকে বন্যার আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। শনিবার থেকে কাঁসাইয়ের জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ময়না ব্লকে চণ্ডীয়া নদীর জলস্তর আগের চেয়ে বেড়েছে। ডিভিসি জল ছাড়ায় জল বাড়ছে রূপনারায়ণ নদেও। পাঁশকুড়া ও ময়নায় কাঁসাই নদীর বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সেচ দফতর জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ চালাচ্ছে।
জেলা সেচ দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাতে কংসাবতী ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে পাঁশকুড়া, ময়না, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকে বিপদের আশঙ্কাএ বাড়ছে। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কাঁসাইয়ের জলস্তর এখনও বিপদসীমার উপরে। চণ্ডীয়া নদীর জলস্তরও বেড়েছে। রবিবার রাতে কংসাবতী ব্যারাজ থেকে আরও ২২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নদীর বাঁধ রক্ষায় সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’
গত শনিবার থেকে বৃষ্টি থামলেও নতুন করে বিপদ বাড়িয়েছে বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার ঘটনা। শুক্রবার রাত থেকে কংসাবতী ও ডিভিসির ব্যারাজের জল ছাড়া শুরু হতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁসাই, চণ্ডীয়া, হলদি নদীর জলস্তর বেড়েছে। পাঁশকুড়া পুরসভার ভবানীপুর এলাকায় কাঁসাইয়ের বাঁধে দুটি জায়গায় ধস নেমে ক্ষতি হয়। জরুরি ভিত্তিতে নদীবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির কাজ করছে সেচ দফতর।
চণ্ডীয়া নদী সংলগ্ন ময়নার পরমানন্দপুরে দু’টি জায়গায় নদী বাঁধে ধস নেমে ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ময়না ও নন্দকুমারের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী পুরশাঘাটের কাছে কাঁসাইয়ের উপর বাঁশের সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কাঁসাইয়ে জলস্তর বাড়ায় রবিবার থেকে ময়নার প্রজাবাড়, রামচন্দ্রপুর, শ্রীকন্ঠা, দোবান্দি এলাকায় সব ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডিভিসি জল ছাড়ায় শনিবার থেকে রূপনারায়ণের জলস্তর বাড়লেও তা এখনও বিপদসীমার নীচে। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘শনিবার ১৯ টি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল। রবিবার ১৪ টি নদীর জল বিপদসীমার উপরে রয়েছে। ফের ভারী বৃষ্টি না হলে সোমবার নাগাদ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’