প্রতীকী ছবি।
অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীকে খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পড়েছিল পুলিশ। তবে আপাতত তদন্তকারীরা মনে করছেন, সম্ভবত সম্পত্তির জন্যই খুন করা হয়েছিল জে বি সুব্রহ্মণ্যমকে।
একজন সাধারণ রেলকর্মী হয়েও সুব্রহ্মণ্যমের সোনার গয়না ও আর্থিক সম্পত্তি বারবার ভাবাচ্ছিল তদন্তকারীদের। তাতেই উঠে এসেছিল শহরে প্রচলিত ‘চিট খেলা’র (পরিচিতদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের খেলা) সঙ্গে সুব্রহ্মণ্যমের যোগ। তদন্তে জানা যায়, সুদের কারবারও ছিল ওই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীর। সম্প্রতি ঋণ দেওয়া ৫লক্ষ টাকা উদ্ধারে তৎপরতা দেখা যাচ্ছিল সুব্রহ্মণ্যমের। তাতেই কয়েকজনের রাগ বাড়ছিল ওই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীর উপর। সেই রাগ থেকেই সম্ভবত ব্রহ্মণ্যমের বাড়িতে থাকা সোনা ও টাকা লুটের পরিকল্পনা করছিল কয়েকজন। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ওই রেল কলোনির দু’জন। তাদের থেকেই উদ্ধার হয় সুব্রহ্মণ্যমের বেশ কয়েকটি সোনার গয়না।
বুধবার খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ বেশ কয়েকজনকে জেরা করে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কিছু বলতে চায়নি। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে যে ধোঁয়াশা ছিল তা কিছুটা কেটেছে। নিশ্চিত ভাবে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে মোটের উপর তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই খুন করা হয়েছিল নিউ সেটলমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী সুব্রহ্মণ্যমকে। পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে ৬ জনের জড়িত থাকার সূত্র মিলছে। তাদের মধ্যে ৩জনই আপাতত শহরের বাইরে। সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এক মহিলার।
পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহের তালিকায় ছিলেন তিনিও। তবে আপাতত তদন্তকারীরা মনে করছেন, সম্ভবত খুনের সঙ্গে যোগ নেই ওই মহিলার। তবে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা তদন্তের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। ২ জনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। সম্পত্তির জন্য খুন বলে স্পষ্ট হয়েছে। খুব শীঘ্র অপরাধীরা ধরা পড়বে।”
সোমবার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সুব্রহ্মণ্যমের দেহ উদ্ধার হয় নিউ সেটেলমেন্টের রেল কোয়ার্টার থেকে। হাত-পা বাঁধা ছিল। মুখে ছিল কাপড় গোঁজা। চোখে ছিল আঘাতের চিহ্ন।