গুদামের শাটার ভেঙে চাল খাচ্ছে রামলাল। — নিজস্ব চিত্র।
কখনও গৃহস্থের বাড়ির উঠোন, আবার কখনও পানীয় জলের কলের সামনে শুঁড়ে জল খাওয়া বা জাতীয় সড়কের উপর ট্রাক থামিয়ে চাল খাওয়ার দৃশ্য— জঙ্গলমহল এলাকায় রামলাল অতি পরিচিত। সে আসলে অতিকায় একটি দাঁতাল। সাধারণত ঝাড়গ্রামের জঙ্গলেই রামলালের স্বচ্ছন্দ বিচরণ। শুক্রবার সকালে সেই রামলালেরই দেখা মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া রেঞ্জের লসিভাঙায়। ফুড কর্পোরেশনের (এফসিআই) গুদাম ভেঙে ঢুকে মজুত চাল খেয়ে আবার রামলাল ফিরে যায় জঙ্গলে। আর রামলালের সেই কীর্তি এখন ভাইরাল জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের কাছে। আনন্দবাজার অনলাইন ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রামলাল শুক্রবার সকালে খাবারের খোঁজে হেলেদুলে ঢুকে পড়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকে এফসিআইয়ের গুদামে। নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেই গুদামে লাগানো রয়েছে লোহার রোলিং শাটার। রামলাল এসে দাঁড়িয়ে পড়ে সেই রোলিং শাটারের সামনে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রামলাল শুঁড় দিয়ে অনায়াসে ভেঙে ফেলে লোহার রোলিং শাটার। তার পর শুঁড় ঢুকিয়ে পেট ভরে চাল খায় সে। খাওয়া শেষ হলে আবার গজগামিনী ছন্দে রামলাল ফেরে জঙ্গলে। সেখানে উপস্থিত লোকজন রামলালকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু রামলাল মোটেও তাঁদের পাত্তা দেয়নি। শেষ বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছে রামলালকে সেখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করেন।
এ দিকে রামলালের কাণ্ড দেখতে ভিড় জমে যায় খাদ্য দফতরের গুদামে। সকলেই দেখে তাজ্জব যে, কাগজ ছেঁড়ার মতো অনায়াসে রামলাল লোহার দরজা ভেঙে ফেলল! প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে অতি পরিচিত নাম রামলাল। রাস্তাঘাট বা পাড়া— রামলালের গতিবিধি সর্বত্র। তবে, এত দিনেও রামলাল কারও উপর হামলা করেনি। জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা তাই শান্তশিষ্ট রামলালকে দেখলেই কলা, মুলো এগিয়ে দেন। এনে দেন বালতি ভরা ঠান্ডা জল। সেই রামলালকে এ বার দেখা গেল খাদ্য দফতরের গুদাম ভেঙে মজুত চাল খেতে।