প্রতীকী ছবি।
মেরামতি করতে গিয়ে খেতে হল মার। বকেয়া বিল আদায় করতে গিয়ে পড়তে হল হেনস্থার মুখে। শনিবার চন্দ্রকোনার দু’টি ঘটনাতেই নিশানায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। দু’টি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হলেও রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে লাইন মেরামতির কাজ করতে চন্দ্রকোনার পিয়াডাঙা যান বিদ্যুৎ দফতরের কয়েকজন কর্মী। স্থানীয় সমীর আলি নামে এক বিদ্যুৎ গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতেই লাইন মেরামত করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পিয়ারডাঙায় একটি স্যালো রয়েছে সমীরের। শুক্রবার লাইনে ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে পাম্প থেকে জল উঠছিল না। আগের রাতে অভিযোগ জানানোর পরেও কাজে এত দেরি হল কেন— এই অভিযোগ তুলে সমীর ও তাঁর ভাই আমির দফতরের কর্মীদের দেখতে পেয়েই ঘিরে ধরেন। পুলিশ জানিয়েছে, একসময় দফতরেরই গাড়ি থেকে নাইলনের দড়ি নিয়ে কর্মীদের বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। মাঝে মধ্যে চড়-থাপ্পড়ও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফোন করতেও দেওয়া হয়নি। আটকে রাখা হয় তাঁদের। চন্দ্রকোনা থেকে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। রাতের দিকে তাঁদের উদ্ধার করে আনা হয়। ঘটনার পরই বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে চন্দ্রকোনা থানায় সমীর ও আমির আলি দু’জনের নামে মামলা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক।
বকেয়া বিল আদায় করতে গিয়ে শনিবার চন্দ্রকোনার বড় আগনা গ্রামে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীদের। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বড় আগনা-সহ সংলগ্ন একাকায় সুজিত মাইতি, অসিত ভুঁইয়া ও শিবু দোলইয়ের বিল বকেয়া ছিল। ওই তিন জনেরই স্যালোর সংযোগ রয়েছে। বিল বকেয়া থাকায় সম্প্রতি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। শনিবার বকেয়া টাকা আদায় করতে গেলে কর্মীদের আটকে সংযোগ পুনরায় চালু করতে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কর্মীরা লাইন চালু করতে আপত্তি জানান। অভিযোগ, এরপর কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধেই থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।