ছবি সংগৃহীত
লকডাউনে আয় নেই। পুরসভার কোষাগার কার্যত শূন্য। কর্মীদের বেতন দিতে রাজ্য পুর দফতরে চিঠি দিলেন এগরার পুরপ্রশাসক।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্য পুরসভাগুলি থেকে আয়তনে সবচেয়ে ছোট এগরা পুরসভা। রজত জয়ন্তীবর্ষ পেরিয়ে এলেও সম্পূর্ণভাবে এখনও সাবলম্বী হতে পারেনি এই পুর এলাকা। পুরবাসীর একাংশের অভিযোগ, এখনও একাধিক ওয়ার্ডেই পঞ্চায়েতের পরিকাঠামোর মতোই ব্যবস্থা থেকে গিয়েছে। তবে পুর এলাকায় উন্নয়ন জন্য আবাসন নির্মান, ট্রেড লাইসেন্স, রাজস্ব আদায় থেকে একটা বড়ো অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরকর বাবদই প্রতি বছর কোটি টাকা এগরা পুরসভার কোষাগারে আসে। তবে ওই করের একটা বড়ো অংশ মার্চ মাসে জমা পড়ে। গত বছর শুধু মার্চ মাসে এগরা পুরসভায় ৩৩ লক্ষ টাকা কর জমা পড়েছিল বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকেরা। কিন্তু এ বছর লকডাউনের কারণে পুরসভার সব উপার্জনের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়েছে। নতুন বাড়ি তৈরি থেকে নতুন ট্রেড লাইসেন্সের জন্য কেউ আবেদন পর্যন্ত করছে না বলে দাবি। এছাড়া, পুরসভা উপার্জনের একটা বড় মাধ্যম পুরকর, তা-ও করোনা সংক্রমণের অনেকে এখনও দিত আসছেন না। নতুন আর্থিক বছর শুরুতে উপার্জনের পথ এভাবে বন্ধ থাকায় পুরসভার কোষাগার শূন্য।
এদিকে, পুরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁদের বেতন দিতে পুরসভার প্রতি মাসে খরচ হয় কয়েক লক্ষ টাকা। স্থায়ী কর্মীদের সরকার যে বেতন দেয়, তার ১৫ শতাংশ পুরসভাকে দিতে হয়। আর অস্থায়ী কর্মীদের পুরসভা নিজেদের কোষাগার থেকে বেতন দেয়। গত দু'মাসে পুর কর্মচারীদের বেতন রাজ্য সরকার মিটিয়েছে।
কিন্তু কার্যত কোষাগার শূন্য জুনে মাসে কীভাবে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হবে, সে নিয়ে চিন্তায় পুর প্রশাসক। জুনে কর্মীদের বেতন দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এ নিয়ে তাই রাজ্য পুর দফতরে চিঠি দিয়েছেন এগরা পুর প্রশাসক শঙ্কর বেরা। আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য পুর দফতর টাকা মঞ্জুর করলে জুনের বেতন হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। শঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘আর্থিক বছর শেষের মুহূর্তে লকডাউনের কারণে সব উপার্জন বন্ধ। কোষাগার প্রায় শূন্য। তাই জুন মাসের এগরা পুরসভার কর্মীদের বেতন দিতে রাজ্য পুরদফতরে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি।’’