বক্তৃতা করছেন মীনাক্ষী। ঘাটালের শিলাবতী মাঠে। নিজস্ব চিত্র।
এসএফআইয়ের জেলা সম্মেলনের সমাবেশ থেকে নাম না করে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে নিশানা করলেন সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
শনিবার ঘাটাল শহরের শিলাবতী মাঠের ওই ছাত্র সমাবেশ থেকে মীনাক্ষীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ঘাটালের সাংসদ। তার প্রতি আমার কোনও ব্যাক্তিগত খারাপ লাগা নেই। আর হিরোকে কার না ভাল লাগে।’’ এরপরেই তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘ঘাটাল-দাসপুর এলাকার শিলাবতী নদীর পাশ থেকে জেসিপিতে করে মাটি তুলে ট্রাক্টরে করে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আপনি কেন নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমান! যখন ঘাটালের একটা বড় অংশ জলে ডুবে যায়, তখনও আপনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। কেন?’’ একই সঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘাটাল-তথা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অবদান মনে করিয়ে সাম্প্রতিক শিক্ষা দুর্নীতি নিয়েও ঘাটালের সাংসদকে কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও সরব হন মীনাক্ষী। শিক্ষার বেসরকারিকরণ করে একের পর এক সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। সিপিএমের যুব নেত্রীর প্রশ্ন, ‘‘যেখানে সরকার শীতের মরসুমে সাতদিনে ৫০০ কোটি টাকার মদ বিক্রির কথা প্রচার করে, সেখানে কেন বছর বছর মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র কমছে, তার ব্যাখ্যা সরকার দিচ্ছে না। একদিন এর জবাব দিতে হবেই।” রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। সেই নিয়ে বার বার সরব হয় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এদিন মীনাক্ষীকে বলতে শোনা যায়, “এতই যদি মনের জোর, তাহলে রাজ্যর সব কলেজগুলিতে নির্বাচন করে দেখাক। হিম্মত কত তখন দেখা যাবে!”
দিন কয়েক ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এসএফআইয়ের সম্মেলন ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছিল। শনিবার ঘাটাল শহরে সেই সম্মেলন শুরু হয়। সকালের দিকে সংগঠনের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান হয়। বিকালে ঘাটাল শহরের কৃষ্ণনগরে শিলাবতী নদীর পাড়ে হয় সমাবেশ। সেখানে মিনাক্ষী ছাড়াও ছিলেন যুবনেত্রী দীপ্সিতা ধর, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক রনিত বেরা প্রমুখ। ভিড় ছিল ভালই। এদিন সন্ধ্যায় ঘাটালের রাজীব নিলনে সম্মেলন শুরু হয়। রাতেই নতুন জেলা কমিটি গঠন হয়।