সক্রিয় দালালচক্র, প্রশ্নে নজরদারি

হেঁশেলের সিলিন্ডার দোকানে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর বাজারের ছোটখাটো দোকান (চায়ের, খাবারের) গৃহস্থের গ্যাসগুলি কিনে অবাধে ব্যবহার করছে বাণিজ্যিকভাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে মিষ্টির দোকানে। নিজস্ব চিত্র

গৃহস্থের জন্য বরাদ্দ রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের বেআইনি ভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের অভিযোগ ছিলই। পুজোর মরসুমে তা লাগাম ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকেরা। শিল্পশহরে দালাল চক্রের মাধ্যমে সকলের চোখের সামনে এই কারবার রমরমিয়ে চললেও কোনও নজরজারি নেই বলে তাঁদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর বাজারের ছোটখাটো দোকান (চায়ের, খাবারের) গৃহস্থের গ্যাসগুলি কিনে অবাধে ব্যবহার করছে বাণিজ্যিকভাবে। যার পিছনে কাজ করছে একাধিক দালাল চক্র। অনেক পরিবার রয়েছে যেখানে সদস্য সংখ্যা কম হওয়ার জন্য প্রতি মাসে বরাদ্দ সিলিন্ডার অনেকটাই বেঁচে যায়। এই অতিরিক্ত সিলিন্ডারগুলিকেই কাজে লাগাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু মানুষ। একটি পরিবারের জন্য ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের বরাদ্দ বছরে ১২টি। অনেক পরিবারে দেখা যায় একটি সিলিন্ডারে দুই থেকে তিন মাস চলে যায়। সে ক্ষেত্রে বছরে তাদের লাগে ৬-৭টি গ্যাস সিলিন্ডার। বেঁচে যাওয়া বরাদ্দের বাকি সিলিন্ডারগুলি অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করে দালালরা। আর সেগুলিকেই বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

চলতি মাসে ভর্তুকিযুক্ত গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৫৮৯ টাকা। এতে ভর্তুকি পাওয়া যায় ৫০ থেকে ৭০ টাকার মতো। সিলিন্ডারের ওজন হয় ১৪.২কেজি। উল্টোদিকে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের ওজন ১৯ কেজি। দাম ১০৫১ টাকা ৫০ পয়সা। দেখা গিয়েছে, একটি গ্যাস সিলিন্ডার বাবদ গৃহস্থকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর সেই সিলিন্ডারই দালালরা ছোট ছোট রেস্তোঁরা, ক্যাটারিং মালিকদের কাছে কালোবাজারে বিক্রি করে অনেক বেশি দামে।

Advertisement

এক কলেজ ছাত্রীর কথায়, ‘‘পড়াশোনা করার জন্য বাড়ি ছেড়ে বাইরে থাকতে হচ্ছে। এখানে নিজেদের নামে তো গ্যাস পাব না। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে দালালদের কাছ থেকে গ্যাস কিনতে হচ্ছে।’’

কিন্তু দিনের পর দিন এ ভাবে রান্নার গ্যাসের বেআইনি ভাবে বাণিজ্যিক ব্যববার রুখতে নজরদারি নেই কেন? গ্যাস প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বক্তব্য, কেবল গ্রাহকদেরই গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

গ্রাহক সেই গ্যাস নিয়ে কী করবেন সেটা দেখা সংস্থার দায়িত্ব নয়। তবে অপব্যবহার হলে তা রোখার দায়িত্ব প্রশাসনের। জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে নিশ্চিতভাবে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement