ভগবানপুরে দিলীপ ঘোষ।
ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার হলদিয়ার ক্ষুদিরাম স্কোয়ারে বিজেপির পক্ষ থেকে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় যোগ দিতে এদিন সকাল ১১টা নাগাদ মেচেদায় পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। পথেই তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দেন বিজেপি নেতৃত্ব। মেচেদা থেকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হলদিয়ার দিকে রওনা হয় দিলীপের কনভয়। সেইসঙ্গে মেচেদা থেকে একটি বাইক র্যালিও হলদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।এদিন সিপিএম থেকে বেশ কয়েক জন কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে সমস্ত রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা তুলে নেব। এমনকী তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেও যে মামলাগুলি করা হয়েছে সেগুলোও তুলে নেওয়া হবে।” সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘২০২১ সালে ভোটে তৃণমূল ভোট লুট করতে গেলে জনতার হাতে মার খেয়ে সোজা হাসপাতালে যেতে হবে। বাড়াবাড়ি করলে শ্মশানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’ শনিবার রাতে মঞ্চ বাঁধতে তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয় বলেও এ দিন অভিযোগ করেন দিলীপ।
রাজ্যে আয়ুষ্মান যোজনা চালু না হওয়া নিয়ে শাসক দলকে দায়ী করে দিলীপ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের কৃষক সম্মান নিধির ১৪০০০ টাকা থেকে বঞ্চিত করেছেন দিদি। আয়ুষ্মান যোজনা থেকেও বঞ্চিত করেছেন রাজ্যবাসীকে।’’ আলুর বেলাগাম দাম নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তাঁর উক্তি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আলু হয় ৬০ লক্ষ টন। রাজ্যের মানুষ খান ৫০ লক্ষ টন। বর্ধমান, হুগলি-সহ বিভিন্ন জায়গায় আলু চাষ হয়। আলু চাষিরা ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। আর সেই আলু ৪৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। মাঝখানের ৪০ টাকা দিদির ভাইয়েরা কাটমানি খাচ্ছেন। যার ভাগ যাছে কালীঘাটেও। হিমঘরে আলু মজুত রেখে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। কাটমানির মাধ্যমে দিদি ভোটের জন্য টাকা তুলছেন।’’
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে হলদিয়ার পুর পারিষদ তৃণমূলের স্বপন নস্কর বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলদিয়ায় এসে মিথ্যাচার করছেন। হলদিয়ার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’’
হলদিয়া থেকে ভগবানপুরে যান দিলীপ। ভগবানপুর-১ ব্লকের গোকুলাপুকুর মাঠে সভা থেকে আলুর দামবৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলকে দোষ দেন। বলেন, ‘‘চন্দ্রকোনা, বাঁকুড়া, হুগলির কৃষকেরা আলু চাষ করেন। কৃষকেরা আলু বিক্রি করে তাঁদের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অথচ রাজ্যের মানুষকে চল্লিশ টাকা দরে আলু কিনতে হচ্ছে। দিদিমণি আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সভায় ছিলেন বিজেপি ভগবানপুর পূর্ব মণ্ডল সভাপতি রমেশ মাইতি, স্বপন রায় প্রমুখ।