নোট বাতিলের জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়ারও ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার মমতাকে পাল্টা বিঁধল বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘সাধারণ মানুষের কোনও কষ্ট হচ্ছে না। তাঁরা হাসিমুখে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্তে খুব কষ্ট পেয়েছেন! টাকা যাতে লুঠ না-হয় সে জন্যই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।’’
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির কার্যকরী কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুরে আসেন দিলীপবাবু। এর আগে সকালে খড়্গপুরে একাধিক ব্যাঙ্ক পরিদর্শন করেন। ব্যাঙ্কের সামনে গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘উনি নিজে কেমন? সাধারণ না অসাধারণ! যাঁর হাতে মিষ্টি কেনার ৫০ টাকা থাকে না। ৫০০, ১০০০ টাকার নোট থাকে। তিনি কী না নিজেকে সাধারণ মানুষ বলেন! কতজন মানুষ রোজ ৫০০, ১০০০ টাকার নোট নিয়ে বাজার করতে যান? আসলে সমস্যাটা দিদির!” নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বিজেপির বিরুদ্ধে এত সুর চড়াচ্ছেন? দিলীপবাবুর মন্তব্য, “কেউ যখন ডুবতে বসে, তখন কিছু আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে! সমস্যা তো হবেই! তবে জনগন এর জবাব দেবেন।’’
মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও এটিএমের সামনে শিবির করছে তৃণমূল। গ্রাহকদের পাশে থেকেই প্রতিবাদের কৌশল নিয়েছে শাসকদল। যদিও বিজেপি একে শাসকের বোধোদয় হিসেবেই দেখছে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এতদিনে লাইনে এসেছে ওরা। কেউ সাময়িক সমস্যায় পড়লে তাঁকে সাহায্য করাটা সকলের দায়িত্ব। এটা বাধ্যবাধকতা। আসলে মানুষ বুঝেছেন, সমস্যাটা দিদির! সাধারণ মানুষের নয়।” বিজেপি বিধায়কের কথায়, “সাধারণ মানুষ খুশি। লাইনে দাঁড়ানোয় কিছু সমস্যা হয়তো হচ্ছে। তবে সেটা সাময়িক। গ্রাহকেরা পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। সকলে এ টুকু কষ্ট হাসিমুখেই মেনে নিচ্ছেন। সব রকম সহযোগিতাও করছেন।”