Awas Yojana

আবাসে নাম শাসকদলের পুর প্রতিনিধির মা-স্ত্রীয়ের

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরে চূড়ান্ত তালিকায় দেবদুর্লভ স্ত্রী ও মায়ের নাম যুক্ত করেন। অভিযোগ, দু’টি বাড়ির টাকায় একই জায়গায় একটি বাড়ি তৈরি করছেন তৃণমূলের ওই পুরপ্রতিনিধি।

Advertisement

গোপাল পাত্র

এগরা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৫
Share:

আবাস যোজনার ঘর। — প্রতীকী চিত্র।

আবাস যোজনায় বাড়ি-বঞ্চনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। এই আবহে যখন রাজ্যের তরফে চূড়ান্ত প্রাপক তালিকা তৈরির কাজ চলছে, তখন তৃণমূলের এক পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে তাঁর মা ও স্ত্রী-য়ের নামে আবাস যোজনায় জোড়া বাড়ির টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এগরায়।

Advertisement

এগরা পুরসভায় ২০১৯ সালে আবাস যোজনার তালিকায় দেবদুর্লভ মাইতি নাম এক ব্যক্তির স্ত্রী এবং মায়ের নাম ছিল। সে সময় দেবদুর্লভ ঠিকাদারি করতেন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এগরায় পুরসভা নির্বাচন হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিটে তিনি পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ওই বছরের মার্চে আবাস প্রকল্পের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়, তাতেও দেবদুর্লভের মা এবং স্ত্রীয়ের নাম ছিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরে চূড়ান্ত তালিকায় দেবদুর্লভ স্ত্রী ও মায়ের নাম যুক্ত করেন। অভিযোগ, দু’টি বাড়ির টাকায় একই জায়গায় একটি বাড়ি তৈরি করছেন তৃণমূলের ওই পুরপ্রতিনিধি। এ নিয়ে সরব বিজেপি। এগরা নগর মণ্ডল বিজেপির সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘দরিদ্ররা বঞ্চিত। তৃণমূলের নেতারা আবাসে দু’টি করে বাড়ি পাচ্ছেন!’’

Advertisement

আবাস যোজনার প্রাপক তালিকায় নাম ওঠেনি, এমন এক ব্যক্তি এ ব্যাপারে প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে এগরার পুরপ্রধান স্বপন নায়েককে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাঁর ফোন ছিল পরিষেবা সীমার বাইরে। তবে এগরার মহকুমাশাসক মনজিৎ কুমার যাদব বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

অভিযুক্ত দেবদুর্লভ বলছেন, ‘‘পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার আগে যখন আমাদের মাটির বাড়ি ছিল, সেই সময় সমীক্ষা হয়েছে। তখন আমরা দরিদ্র সীমার নীচে থাকায় আবাস যোজনার টাকা পেয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement