হলদিয়ায় দিব্যেন্দু। নিজস্ব চিত্র
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং বাবা জেলা তৃণমূল সভপতি শিশির অধিকারী কী করেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। জল্পনার কারণ দলের কোনও কর্মসূচিতেই তাঁদের দেখা যাচ্ছিল না। যদিও দু’জনেই জানান, তাঁরা তৃণমূলেই রয়েছেন। দলের নানা কর্মসূচিতে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে নতুন সমীকরণ খুঁজতে শুরু করে রাজনৈতিক মহল। আপাতত সেই জল্পনায় জল ঢাললেন দিব্যেন্দু। ফের সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও হস্তশিল্প মেলার সমন্বয়ে তিনদিনের ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ছিল সোমবার। হলদিয়ার বাসুদেবপুরের এইচএফসি মাঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বিভু গোয়েল। সেই অনুষ্ঠানেই দেখা গেল তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, হলদিয়া পুরপ্রধান শ্যামল কুমার আদক পুরপারিষদ স্বপন নস্কর প্রমুখকে। এ দিন দিব্যেন্দু ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠান মঞ্চে সরকারের এই প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বেশ কিছুদিন গরহাজিরার পর এ দিন দিব্যেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপির সংগঠন জোরদার করতে জেলায় জেলায় ঘুরছেন। রবিবার ডায়মন্ড হারবারে জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘শুভেন্দুবাবু বাংলায় পদ্ম ফোটানোর কথা বলছেন। কিন্তু নিজের ঘরেই তিনি পদ্ম ফোটাতে পারেননি’। এ দিন সরকারি অনুষ্ঠানে দিব্যেন্দুর উপস্থিতি কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে সিলমোহর দিল। যদিও তমলুকের সাংসদের দাবি, ‘‘আমাকে আমন্ত্রণ জানালে যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির থাকি।’’
‘বাংলা মোদের গর্ব’ সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সরকারের জনমুখী প্রকল্প, সরকারের প্রশংসা করে যা বলার দরকার ছিল তাই বলেছি। এটা ভাল উদ্যোগ।’’