—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
কলকাতায় কর্মসূত্রে আলাপ। এর পরে ডাকাতির ছক কষে সফল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়িয়ে ডাকাতির জাল ছড়িয়েছিল পড়শি ভিন্ রাজ্যে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেরায় নিজেদের এমনই পরিকল্পনার কথা জানাল চার দুষ্কৃতী!
বৃহস্পতিবার ওই চারজনকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে চারদিনের হেফাজতে নিয়েছে পিংলা থানার পুলিশ। এর পরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ধৃতেরা হল পাঁশকুড়ার নাসির খান ওরফে রাজু, শেখ রাজু ওরফে ছটু, রবিউল ইসলাম ও ডেবরার শেখ ভিকি আলি।
পিংলার বরিষার কাছে একটি গাড়ি ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ওই গাড়িটি আটক করে পুলিশ। এর পরে ওই গাড়ির চালকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই চালক জানায় পিংলার ডাকবাংলো মোড়ে ওই ডাকাতদের নামিয়েছে। এর পরেই ডাকবাংলোর কাছে পুলিশ ওই দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেলে। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা পালাতে শুরু করে। যদিও ওই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় ওই দুষ্কৃতীরা গত সাত মাস ধরে এমন ডাকাতির কাজে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে। মূলত ওই ডাকাত দলের প্রত্যেকেই কলকাতার বৌবাজার এলাকায় নানা পেশায় মিস্ত্রির কাজ করত। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। এর পরেই এমন দুষ্কর্মে জড়িয়ে পড়ে তারা। হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, পটাশপুর এমনকি ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে এই দুষ্কৃতী দলটি। সে ক্ষেত্রে এই দলটির মূল লক্ষ্য সোনা দোকান, মদের দোকান, পেট্রোল পাম্প, কাপড়ের দোকান বলে জানিয়েছে।