পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ। দাসপুরের বাসুদেবপুরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
গত ৩০ অগস্ট বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল দাসপুর থানার বাসুদেবপুরের এক বালক। প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গত বুধবার কলকাতাতেই ওই বালকের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহ বাড়িতে আনা হলে, ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আত্মীয়, পরিজন এবং স্থানীয়রা।
মৃতদেহ নিয়ে স্থানীয়রা বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা অর্চনা মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মিললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, গত অগস্ট মাসে বাসুদেবপুরে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল মনিরুল আলি (১২)। বাইক আরোহীর বাড়িও বাসুদেবপুর গ্রামেই। ওই দিন বিকেলের দিকে মনিরুল বাড়ি লাগোয়া রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছিল। সেই সময় পড়শি ওই যুবক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক নিয়ে মনিরুলকে ধাক্কা মারে। মাথায় আঘাত পায় মনিরুল। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে মনিরুলের মৃতদেহ দাসপুরের বাসুদেবপুরে পৌঁছলে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ।
মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বাইক আরোহীর কাছ থেকে চিকিৎসার খরচ-সহ অন্য খরচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বাইক আরোহী আবার সোনার কাজে বাইরের রাজ্যে চলে গিয়েছেন। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যা অর্চনা মণ্ডলের বাড়িতে যান স্থানীয়রা।