দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে চলতি মাসের গোড়ায়। প্রচারও চলছে। তবে এত দিন তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের ময়দানে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের নিচুতলায় ক্ষোভও ঘনাচ্ছিল। শেষমেশ নেতৃত্ব নির্দেশ দেন, সাংসদদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে যেতে হবে। সেই মতো এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচারে আসতে চলেছেন তৃণমূলের দুই তারকা সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব এবং সন্ধ্যা রায়। সন্ধ্যাদেবী মেদিনীপুরের সাংসদ, দেব ঘাটালের।
দলীয় সূত্রে খবর, আজ, শনিবার থেকেই প্রচার শুরু করবেন দেব। এ দিন ঘাটাল এবং দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর প্রচার রয়েছে। কাল, রবিবার পিংলা, সবংয়ে প্রচার রয়েছে। পরশু, সোমবার কেশপুর, ডেবরায় প্রচার রয়েছে। তৃণমূলের অন্যতম জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্যামপদ পাত্র বলেন, ‘‘দলের সাংসদরা প্রচারে আসছেন। দেব শনিবার থেকেই প্রচার শুরু করবেন। আগামী তিনদিন তাঁর বেশ কয়েকটি প্রচার কর্মসূচি রয়েছে।’’ সন্ধ্যাদেবী জেলায় আসবেন সোমবার। ওই দিন এক মন্দিরে যাওয়ার কথা তাঁর। মেদিনীপুরের সাংসদও তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি সভা করবেন। জেলায় থাকবেন আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। দলের তারকা- সাংসদেরা আসার ফলে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় উঠবে বলেই মনে করছেন শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব।
গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘ঘরের লোকেদের’ প্রার্থী করেনি তৃণমূল। বদলে তারকাদের ভোটে দাঁড় করানো হয়। নির্বাচনে অবশ্য এর সুফল পেয়েছে শাসক দল। বিপুল ভোটে জিতেছেন তারকারা। দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল ঠেকাতেই তারকাদের পশ্চিম মেদিনীপুরে এনে দাঁড় করানো হয় বলে মনে করে শাসক দলের একাংশ। ঘাটালে প্রার্থী হন দেব। মেদিনীপুরে প্রার্থী হন সন্ধ্যাদেবী। তারকা- সাংসদদের সব সময় এলাকায় দেখা যায় না। কখনও-সখনও তাঁরা নির্বাচনী এলাকায় আসেন। এ নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ নতুন নয়। সেই ক্ষোভই দানা বাঁধতে শুরু করে বিধানসভা ভোটের মুখে। একাংশ কর্মী প্রশ্ন তোলেন, প্রচারে দলের সাংসদকে পাওয়া যাবে না এটা হতে পারে। মানুষ কি বলবেন। কর্মীদের অসন্তোষে মলন দিতে উদ্যোগী হন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তারকা-সাংসদদের প্রচার কর্মসূচি ঠিক হয়। দলের কর্মীদের অসন্তোষের কথা অবশ্য মানতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূলের অন্যতম জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্যামপদবাবু বলেন, ‘‘দলের মধ্যে কোনও ক্ষোভ নেই। সাংসদরা তো মাঝেমধ্যেই জেলায় আসেন। নির্বাচনী প্রচারেও আসছেন।’’ দেব-সন্ধ্যা রায়রা আসায় দলের নিচুতলাতেও উচ্ছ্বাস দেখা দেবে বলে মনে করছে শাসক দল। যা প্রচারে অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে।
সম্মান। ‘ভক্তি শাস্ত্রী’ সম্মান পেলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুগবেড়িয়ার বাসিন্দা চৈতন্যময় নন্দ। দোল পূর্ণিমার দিন ‘নবদ্বীপ ধাম প্রচারিণী সভা’ এর বার্ষিক অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মান জানানো হয়। চৈতন্যময়বাবু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন। একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন তিনি। তাঁর রচনার বেশিরভাগ বিষয়ই হল ধর্মীয়। তবে সে ধর্মের মধ্যে কোনও গোঁড়ামি নেই, কুসংস্কার নেই। তাঁর রচনাগুলি ধর্মের মাধ্যমে মানবতার কথাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। যা বিভিন্ন সময়ে নানা পত্রপত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে। আর এই কারনেই নবদ্বীপ ধাম প্রচারিনী সভা তাঁকে এই সম্মান জানাল। সম্মান পেয়ে খুশী চৈতন্যময়বাবু বলেন, “ধর্ম তো গোঁড়ামি হতে পারে না। মানুষের মঙ্গল না হলে সে ধর্ম মূল্যহীন। তাই আমি বিবেকানন্দের আদর্শকেই মেনে চলি।”