—প্রতীকী ছবি।
জেটি বানানোর কাজ করার সময় হলদি নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার পাতিখালি এলাকায়। ঘটনার পরে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখন কাঠগড়ায়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত শ্রমিকের নাম শেখ সৈয়দ (৪৭)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালবাগ থানা এলাকায়। স্থানীয় ও প্রশাসনিক সূত্রের খবর, হলদিয়ার পাতিখালি এলাকায় ৪ নম্বর জেটির কাছে বেসরকারি সংস্থার ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য এক নতুন জেটি বানানো হচ্ছে। অভিযোগ, সেই জেটির কাজ করার সময় জলে পড়ে যান সৈয়দ। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শনিবার জেটির উপরে কাজের জন্য ক্রেন বেঁধে কাজ হচ্ছিল। কিন্তু ক্রেনে দাঁড়িয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের কোমরে কোনও লাইফ বেল্ট বাঁধা ছিল না বলে অভিযোগ।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে লঞ্চে নয়াচর যাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘জেটির উপরে কাজ করছিলেন ওই ব্যক্তি। আচমকা নীচে কংক্রিটে ধাক্কা খেয়ে হলদি নদীতে পড়ে যান তিনি। জেটিতে অন্য সহকর্মী এবং স্থানীয়েরা ছুটে গিয়ে তাঁকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন।’’ অবশ্য আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজি পরেও সৈয়দকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বিকাল ৫টা নাগাদ নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সৈয়দকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
স্থানীয় এবং অন্য শ্রমিকদের অভিযোগ, নদীর উপর জেটিতে কাজ করার সময় যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, তা মানা হয়নি। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, ওই কাজের ঠিকাদার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা- সহ সংলগ্ন এলাকা থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে কাজ করাচ্ছেন। এদিনের দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ওই ঠিকাদার সংস্থার এক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তিনি দুর্ঘটনার বিষয়ে মুখে কুলুপ আটেন।
ওই এলাকার শাসকদলের প্রতিনিধিদের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা। ওই শ্রমিক পা ফসকে নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে দুর্গাচক থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘জেটি থেকে জলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, শুনেছি। কীভাবে ওই শ্রমিক জলে পেড়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’