thailand

ফিরল ভিন্ দেশে মৃত শ্রমিকের দেহ 

বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে কীভাবে শাহেদ অসুস্থ হলেন এবং মারা গেলেন, সে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় তাঁর পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামনগর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ০৯:২৭
Share:

তাইল্যান্ডে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক। প্রতীকী চিত্র।

আড়াই মাস পর বাড়ি ফেরানো হল তাইল্যান্ডে মৃত জেলার পরিযায়ী শ্রমিক শেখ শাহেদের (২৯) দেহ। দীর্ঘ টালবাহানার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে রামনগরের তালগাছাড়িতে শাহেদের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছয়।

Advertisement

গত ৫ মার্চ রামনগরের দুই ব্যক্তির মাধ্যমে শাহেদ তাইল্যান্ডের এক হোটেলে কাজের জন্য যান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ফোন করে জানান যে, শাহেদ হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে তাঁর পরিবারকে। শাহেদের পরিবারের কোনও রকমে ১০ হাজার টাকা সাহায্য তুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এর পরেই গত ২৮ মার্চ খবর আসে শাহেদ মারা গিয়েছেন।

শাহেদের দেহ ফেরত আনার জন্যও সমস্যা দেখা যায়। দুঃস্থ শাহদের পরিবারের দাবি, দেহ আনার জন্য তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। পরে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকেরও দ্বারস্থ হয় জেলার পরিয়ায়ী শ্রমিকদের সংগঠন। শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের হস্তক্ষেপে দেহ ফেরত আনা হয় বলে দাবি।বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে আসে ওই মৃতদেহ। এদিন ওই কলকাতা বিমানবন্দরে সকাল ১১টা নাগাদ শাহেদের স্ত্রীর হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। দুপুর ৩টে নাগাদ দেহ বাড়িতে আনা হয়। বিকালে শাহেদের শেষকৃত্য করা হয়।

Advertisement

বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে কীভাবে শাহেদ অসুস্থ হলেন এবং মারা গেলেন, সে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় তাঁর পরিবার। শাহেদের শ্বশুর জয়নাল শাহা বলেন, ‘‘তাইল্যান্ডে পৌঁছে শাহেদ সব কিছু জানিয়েছিল। ও বাড়ি ফিরতে চাইছিল। তারপর একদিন জানানো হয় ও অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিল। জোগাড় করতে না করতেই খবর আসে জামাইর মৃত্যু হয়েছে।’’ ওই যুবকের স্ত্রী বলেন, ‘‘শেষবার ভালো মত কথাও হয়েছিল। বলেছিল, কাজ এসেছে। এর পরে ওই মৃত্যু সংবাদ মানতে পারছি না। মনে হয় আমার স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে।’’

ইতিমধ্যে ‘অল ইন্ডিয়া মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র তরফে ওই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি, মৃতের পরিবারকে অন্তত ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের জেলা উপদেষ্টা নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, "৫ লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য দিতে যেন আর দেরি করা না হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement