সিপিএম নেতার দেহ নারায়ণগড়ে

বাম জমানায় আদিবসী অধ্যুষিত ওই এলাকার দাপুটে নেতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথবাবু। গত ২০ বছর ধরে তিনি নারায়ণগড় লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। এলাকায় তাঁর কথাই শেষ বলে মানত অধিকাংশ আদিবাসী পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০১:২১
Share:

বাড়ির অদূরে রাস্তায় মিলল এক সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগড়ের কাশীপুর পঞ্চায়েতের মামনসা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ ভক্তা (৬৫) নামে ওই নেতার দেহ পাওয়া গিয়েছে। তিনি সিপিএমের নারায়ণগড় লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন।

Advertisement

কেউ বা কারা পরিকল্পিতভাবে দেবেন্দ্রনাথবাবুকে খুন করেছে বলে অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। খুনের কথা বলছে নিহতের পরিবারও। কিন্তু নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ দিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন খড়্গপুরের এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল। পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “দেহটি রাস্তায় পড়েছিল বলে স্থানীয়রা দেখেছে। প্রাথমিকভাবে কোনও গাড়ি ওই ব্যক্তিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারায় ওঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আমরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছি।”

বাম জমানায় আদিবসী অধ্যুষিত ওই এলাকার দাপুটে নেতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথবাবু। গত ২০ বছর ধরে তিনি নারায়ণগড় লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। এলাকায় তাঁর কথাই শেষ বলে মানত অধিকাংশ আদিবাসী পরিবার। অবশ্য গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন প্রবীণ এই নেতা। মন দিয়েছিলেন চাষবাসে। সম্প্রতি বামেদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতেও তিনি সামিল হননি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দেবেন্দ্রনাথবাবু। তখন একটি গাড়ি তাঁর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন, সিপিএমের ওই নেতা রাস্তায় পড়ে আছেন, মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। খবর পেয়ে আসেন দেবেন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী, দুই ছেলে রাজকুমার ও সুকুমার। কেশিয়াড়ি থেকে এসেছেন মেয়ে-জামাই। জামাই শ্যামল দিগার বলেন, “শুনছি একটা গাড়ি চলে যাওয়ার পরেই উনি রাস্তায় পড়ে যান। কিন্তু ঘাড়ের কাছে ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে। ওঁকে খুনই করা হয়েছে।” স্থানীয় দোকানদার রঞ্জন কোটালেরও বক্তব্য, “একটি গাড়ি ও মোটর সাইকেলকে দেবেন্দ্রনাথবাবুর পাশ দিয়ে চলে যেতে দেখেছিলাম। খুন বলেই মনে হচ্ছে।”

খুনের অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বেরও। দলের জেলা কমিটির সদস্য তথা বেলদা জোনাল কমিটির সম্পাদক মদন বসুর কথায়, “আমাদের দলের ওই কর্মীকে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে।” কিন্তু কারা, কেন এই কাজ করল? মদনবাবুর জবাব, “এটা এখনই বলা অসম্ভব। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে নিশ্চয়ই সব সামনে আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement