রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে দুর্বাচটি খালে। নিজস্ব চিত্র
বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল ঝড়। সেই সঙ্গে মধ্যে মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির জল রূপনারায়ণ নদের উপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলে। তা ছাড়া বাঁধ লাগোয়া মাঠে-ঘাটে জমে জল। আর তারই জেরে ঘাটালের দাসপুরে ভাঙল কয়েকটি বাঁধ। রূপনারায়ণের জল ঢুকল দাসপুর-২ ব্লকের বেশ কিছু এলাকায়।
দাসপুর-২ ব্লকের শ্রীবরা মাগুড়িয়া এলাকায় বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে বুধবার। পঞ্চাননতলা এলাকায় মজে যাওয়া দুর্বাচটি খাল সংস্কারের জন্য রূপনারায়ণ নদে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। ইয়াস-এর অভিঘাতে ফুলে-ফেঁপে ওঠে রূপনারায়ণ। জলের প্রবল চাপে দুপুরে ভেঙে যায় সেই বাঁধ। হুহু করে জল ঢুকতে শুরু করে খালে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রবল জলের চাপ,খাল ছাপিয়ে উপচে পড়ছে জল। ইতিমধ্যেই একাধিক পরিবার জলমগ্ন। এই খালের জল উল্টো স্রোতে আসছে দাসপুর-২ ব্লক ছাড়িয়ে গোবিন্দনগর চেঁচুয়ার দিকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কোমল বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। ঝড়ের কারণে ৩ লক্ষের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। নদীর জল বেশ কিছু এলাকায় ঢুকে পড়েছে। সেচ দফতর বিষয়টি দেখছে।’’ সরকারি হিসেব বলছে, বুধবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে বৃষ্টি হয়েছে ৬.৯ মিলিমিটার। সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২০.৬ মিমি। ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। ক্ষতি এড়াতে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৯০৭ জনকে সাময়িক ভাবে সরানো হয়েছিল। রাতে সরকারি ত্রাণশিবিরে আছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ২,৭৩৩ জন। জেলায় মোট ৩৩৯টি বাড়ি দুর্যোগে ভেঙে পড়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭২০টি বাড়ি।