পতাকা তুলছেন হিমাংশু দাস।
তৃণমূলের সন্ত্রাসে সাত বছর আগে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বারাতলা গ্রামপঞ্চায়েতের সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য শশাঙ্ক ধাড়া। ২০০৯ সালের লোকসভা নিবার্চনের পর একদিন বারাতলা গ্রামপঞ্চায়েত অফিসেই শশাঙ্ক বাবুর উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বুধবার প্রশাসনের সাহায্যে বাড়ি ফিরে সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসে বসে সেদিনের কথা বলতে বলতে আতঙ্কে কাঁপছিলেন শশাঙ্কবাবু।
বিড়বিড় করে বলতে থাকেন, “সেদিন পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার না করলে আমি খুনই হয়ে যেতাম। তারপরই ঘর ছাড়ি।’’ দীর্ঘ সাতবছর পর গ্রামে ঢোকার পর সকাল থেকেই শশাঙ্ক, স্বপন, রত্নেশ্বর দলুই-সহ ৩০জন ঘরছাড়া সিপিএম কর্মী হাজির হয়েছিলেন বারাতলা পার্টি অফিসে। ২০০৯ সালের পর থেকে তৃণমূলের আক্রমণ আর পার্টি অফিস পোড়ানোর পর থেকেই বন্ধ ছিল বারাতলায় খেজুরি লোকাল কমিটির অফিসও। বারাতলা পার্টি অফিসে গিয়ে দেখা গেল, অফিসের গোটা এলাকা জুড়ে আগাছার মধ্যে দলের শহিদ বেদি ভাঙাচোরা অবস্থায় অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। দোতলা অফিস ঘর জুড়ে আক্রমণ আর আগুনের পোড়ার চিহ্ন। একতলার বেশ কয়েকটি ঘরের দরজা জানালা নেই। তৃণমূল দুষ্কৃতীরা দরজা জানালা নেই। এ দিন ঘরে ফেরা সিপিএম কর্মীরা সেই বন্ধ কার্যালয়ও খোলেন। হাজির হয়েছিলেন খেজুরির সিপিএম নেতা ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস, রবিউল হোসেন, প্রজাপতি দাস, প্রশান্ত মাইতি ও বিরোধী জোটের প্রার্থী অসীম মণ্ডল। অফিস চত্বরের আগাছা পরিষ্কার করে লাল পতাকায় সাজানো হয় ঘর। কার্যালয়ের উদ্বোধন করে হিমাংশু দাস বলেন, “বুধবার থেকেই বারাতলা, খেজুরি ও হলুদবাড়ি অঞ্চলের বিরোধী জোটের নিবার্চনী প্রচারের কাজ এখান থেকেই করা হবে।” হিমাংশুবাবু আরও জানান, বারাতলা অঞ্চলে ৫০ জনের বেশি ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীর মধ্যে বুধবার ৩০ জন কর্মী ঘরে ফিরছেন। বাকিরাও পর্যায়ক্রমে ঘরে ফিরবেন। ছবি: সোহম গুহ।