‘চোর’ আর ‘ডাকাতে’র তুলনায় বার্তা সুশান্তের

‘চোর’ তাড়াতে গিয়ে ‘ডাকাতে’র হাত ধরবেন না। বক্তা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘চোর’ হল তৃণমূল আর ‘ডাকাত’ হল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোপীবল্লভপুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

‘চোর’ তাড়াতে গিয়ে ‘ডাকাতে’র হাত ধরবেন না। বক্তা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘চোর’ হল তৃণমূল আর ‘ডাকাত’ হল বিজেপি।

Advertisement

রবিবার বিকেলে গোপীবল্লভপুরের যাত্রা ময়দানে ডিওয়াইএফের প্রথম ঝাড়গ্রাম জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্যে সমাবেশ ছিল। ওই সমাবেশের মূল বক্তা সুশান্ত বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন মানুষের সব আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু এখন রাজ্যের শাসক দল ক্ষমতায় থাকার জন্য সব ধরনের অন্যায় করে চলেছে। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে, অন্যায় শেষ কথা বলে না।” কিন্তু রাজ্যের ‘চোর’ শাসকদের তাড়াতে গিয়ে কেন্দ্রের ‘ডাকাত’ বিজেপির হাত না-ধরার আর্জি জানান সুশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘চোর তাড়াতে গিয়ে ডাকাতদের খপ্পরে পড়বেন না। ডাকাতরা আরও ভয়ঙ্কর।’’ সুশান্ত অভিযোগ করেন, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার জন্য একের পর এক অন্যায় করছে। আর বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকার জন্য সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, এদিন দলের কর্মীদের কৌশলে বার্তা দিয়েছেন সুশান্ত। গত সাত বছরে জঙ্গলমহলে বাম রাজনীতি কার্যত কোণঠাসা। বাম কর্মীদের একাংশ বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। গোপীবল্লভপুরে গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে সিপিএম। আবার ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র সিপিএম সদস্য তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহাশিস মাহাতোর সমর্থনে বোর্ড গড়েছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন মহাশিস। দলীয় নীতির বিরোধী এমন বোঝাপড়ার ফলে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement