স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাড়াবাড়ির খোঁজ করছিলেন যুগল। তার পরই তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। — প্রতীকী চিত্র।
তাঁদের সম্পর্ক মানেনি পরিবার। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যুগলে। কিন্তু প্রেমিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রেমিকের মা। তার পরেই আত্মঘাতী হলেন ওই যুগল। সোমবার গাছ থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার খড়িকামাথানি এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সঞ্জয় মল্লিক। তাঁর বাড়ি সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কুস্তরিয়া গ্রামে। মৃত প্রেমিকার বাড়িও সাঁকরাইল থানা এলাকায়।
সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্কা নয়। তাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর এই দাবি করে সাঁকরাইল থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা দেয় মেয়েটির পরিবার। নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। শুরু হয় তার খোঁজ।
অন্য দিকে, প্রেমিকের খোঁজে গিয়ে গত শনিবার তাঁর মা টুনু মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই ঝাড়গ্রাম আদালত টুনুকে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ২ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ফের তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় প্রেমিকের মা যখন জেলবন্দি, ঠিক সেই সময় প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন সঞ্জয়। নয়াগ্রাম থানার খড়িকামাথানি এলাকার নয়াগ্রামের জঙ্গলে একটি গাছে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, রবিবার খড়িকামাথানি এলাকায় ভাড়াবাড়ির সন্ধান করছিলেন ওই যুগল। তার পরেই তাঁদের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল। তবে আত্মহত্যার আগে যুগল বিয়ে করেছেন বলে খবর। নয়াগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে তারা।