প্রতীকী ছবি
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত শনিবার রাতে মারা যান পাঁশকুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জুরি বিবি। মৃত্যুর একদিন আগে অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। সোমবারেও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় উদ্বেগে কাউন্সিলরের গোটা পরিবার। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের পরিবারের সদস্যদের লালারসের নমুনা সংগ্রহের দিন পিছলো জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা কথা থাকলেও বুধবার তা সংগ্রহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা উপর্সগ রয়েছে কিনা, নিশ্চিত হতেই এই বিলম্ব বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
পাঁশকুড়া শহরে সংক্রমণে রাশ টানতে রবিবার থেকে গোটা পাঁশকুড়া শহরেই লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ৯ জুলাই থেকে শহর জুড়ে যে লকডাউন শুরু হয়েছে তাতে পুলিশ-প্রশাসন যথেষ্ট কড়া নজরদারি করছে। সংক্রমণ রুখতে আগেই বন্ধ করা হয়েছে পাঁশকুড়া স্টেশনের পাইকারি আনাজ বাজার। এ বার পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার-সহ শহরের সব বাজারই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন লকডাউন ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা দেখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে টহল দেয়। গোটা শহর ছিল কার্যত সুনসান। হরিনারায়ণচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে ড্রোন উড়িয়ে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পুলিশ। চাঁইপুরের গণ্ডিবদ্ধ এলাকা পাঁশকুড়া থানার পক্ষ থেকে স্যানিটাইজ় করা হয়। রাতুলিয়া বাজার এলাকায় মাইকে প্রচার চালানো হয়। পাঁশকুড়া ব্লকের করোনা সংক্রমিত বেশ কিছু জায়গা এদিন সিল করে দেয় পুলিশ। পাঁশকুড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘পাঁশকুড়া শহর এদিন সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল। যে সব এলাকায় করোনা ধরা পড়েছে সেই সব এলাকায় টহলের পাশাপাশি ড্রোনে নজরদারি ও স্যানিটাইজ করা হয়।’’
শনিবার রাতে সমরেশের করোনায় আক্রাম্ত হওয়ার খবরের পরে তাঁর বাড়ির চারপাশ দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর। পরিবারের সদস্য-সহ পরিচারিকারা সকলেই বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। আগামী বুধবার এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নমুনা নেওযার জন্য ৩০ জনের নামের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।