শুক্রবার ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভকারীরা। নিজস্ব চিত্র
প্রতিটি ব্লকে কোয়রান্টিন সেন্টার গড়ার নির্দেশ রয়েছে প্রশাসনের। সেই কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করতে গিয়েই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ল হলদিয়া ব্লক প্রশাসন। কর্মীদের দেখানো হল ঝাঁটা-লাঠি।
হলদিয়া ব্লকের ব্রজদালচকে বালুঘাটা-চৈতন্যপুর সড়কের পাশে ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিকের একটি নতুন অফিস হয়েছে। বর্তমানে জেলায় যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে ওই নতুন অফিসটিকে করোনা কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই মতো শুক্রবার সকালে হলদিয়া ব্লক প্রশাসনের তরফে ভূমি সংস্কার দফতরের নতুন ভবনটিতে কোয়রান্টিন সেন্টার গড়তে কর্মীরা সেখানে পৌঁছন।
কর্মীরা পৌঁছতেই এলাকার মানুষজন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন মহিলারাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকায় বহু পরিবার বাস করে। তাই এখানে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি হলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। সেই জন্য তাঁরা এখানে সেন্টার তৈরি করতে দেবেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘কোয়রান্টিনে থাকবেন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকজন। তাঁদের থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই সবাই মিলে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাদের ঘিরেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। এর ফলে এ দিন সাময়িকভাবে সেন্টার তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, হলদিয়া মহকুমাতে কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আইসোলেশনেও রয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে হলদিয়া পুরসভায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল এবং সতীশ সামন্ত ট্রেড সেন্টারে কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ধফতর সূত্রের খবর। ব্লকে প্রথমে একটি স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার করার পরিকল্পনা নেওযা হয়েছিল। তবে তা হয়নি। এর পরেই ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরে সেন্টার তৈরির প্রস্তুতি চলছে।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে হলদিয়ার বিডিও তুলিকা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোয়রান্টিন সেন্টারের পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ওখানে গিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’