প্রতীকী ছবি।
করোনা পরীক্ষার গতি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। প্রতি ব্লকে দৈনিক চারশো জনের পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। হচ্ছে শিবির। কিন্তু তাতেও করোনা পরীক্ষা করাতে চাইছেন না অনেকে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণও হচ্ছে না। তাই আলাদা শিবিরের পাশাপাশি এবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও র্যাপিড পরীক্ষার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন।
সম্প্রতি ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। মাস্কের ব্যবহার আগের চেয়ে কমে গিয়েছে। শিকেয় উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি। হাসপাতালগুলিতেও করোনা পরীক্ষার গতি কমেছিল। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে শিবির করে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রতি মাসে চার-পাঁচটি করে শিবির করার কথা। শিবিরে ভিড় বাড়াতে তাই মাইক হেঁকে প্রচারও চলছে। কিন্তু তারপরেও বেশিরভাগ শিবিরেই মেরেকেটে ৪০-৫০ হাজির হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধকারিক মানছেন, “যেখানে প্রতি শিবিরে চারশো জনের পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেখানে ৪০-৫০ জন করে হাজির হচ্ছেন। কোথাও কিছু বেশি। ঘাটাল, দাসপুর-১, চন্দ্রকোনা সব ব্লকেই একই ছবি। দাসপুর-২ ব্লকে অবশ্য একশোর কিছু বেশি পরীক্ষা হয়েছে।”
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, পরীক্ষা কম হলেও শিবির অবশ্য চলবে। সচেতনতা বাড়াতে জনবহুল এলাকা,বাজারে প্রচার বাড়ানো হয়েছে। এখন যেহেতু ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে প্রচুর ভিড় হচ্ছে তাই সেখানেও আলাদা ভাবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার পদক্ষেপ হচ্ছে।
ঘাটালের মহকুমাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি ব্লকেই শিবির করে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। তবে সেখানে সবাই হাজির হচ্ছেন না। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচারে জোর বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুয়ারের সরকার কর্মসূচিতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।”