প্রতীকী ছবি।
দুর্যোগ কাটতেই করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য হাসপাতালগুলিতে লম্বা লাইনের পুরনো ছবি ফিরছে। শুক্রবার ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতালেই টিকাকরণের জন্য ভিড় উপচে পড়ে। হাসপাতালের সাধারণ পরিষেবা সামলে সেই ভিড় সামলাতে এখন হিমশিম দশা কর্তৃপক্ষের।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এখন পরিবহণ কর্মী, হকার, ওষুধ ব্যবসায়ী-সহ নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের নাগরিকদের টিকাকরণ চলছে। একই সঙ্গে সরকারি প্রায় ৩০টি দফতরের কর্মী, ডাকঘর, ব্যাঙ্ক কর্মীরাও প্রতিষেধক পাচ্ছেন। প্রত্যেককেই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল-সহ মহকুমার পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতালেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে দিনে সাড়ে তিনশো-চারশো জন করে করোনার টিকা পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ব্লক থেকে নামের তালিকা ধরেই দেওয়া হচ্ছে প্রতিষেধক।
ঘাটালের গ্রামীণ হাসপাতালগুলি সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এখন রোগীর চাপ রয়েছে। তার সঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্য অনেকে আসছেন। টিকার জন্যও প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ হাসপাতালে আসছেন। সরকারি কর্মী, হকার, ওষুধ ব্যবসায়ীর মতো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের লোক ছাড়াও সাধারণ মানুষও অনেকে আসছেন টিকার খোঁজ নিতে। ভিড় বাড়ছে তাতেই। শুক্রবার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ছ’শো-সাতশো লোকের ভিড় হয়েছিল। টিকা দেওয়া হয়েছে চারশো জনকে। কিন্তু বাড়তি ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল, বীরসিংহ গ্রামীণ হাসপাতালেও একই ছবি। ভিড় সামলাতে পুলিশ তৎপর ছিল। তাতেও ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না বলেই খবর।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই থাকছে ভিড়। মাইক হেঁকে লাইনে দাঁড়াতে বলা হলেও অনেকে শুনছেন না। শিকেয় উঠছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ পরিষেবা। গ্রামীণ হাসপাতালে এমনিতেই ছোট ক্যাম্পাস। সেখানে ভিড় সামলাতে সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের। চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের এক কর্মী বলছিলেন, “একে হাসপাতালে পযার্প্ত কর্মী নেই। তারপর টিকার জন্য শ’য়ে শ’য়ে মানুষের ভিড় জমছে। অনেকেই নানা তথ্য জানতে চাইছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে সকালের দিকে অনেকটা সময় কেটে যাচ্ছে। ভিড়ের চাপে ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ পরিষেবা। তবে রোগীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল যদিও বলেন, “ হাসপাতালে ভিড় তো হবেই। তবে এখন টিকার জন্য ভিড় একটু বেশি। তাতে অবশ্য সাধারণ পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।”