COVID-19 rules

করোনা বিধি না মেনেই প্রসাদ খেতে জমায়েত 

প্রসাদ পরিবেশনকারীদের মধ্যেও সুরক্ষা বিধি মানার কোনও তাগিদ দেখা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের চোখের আড়ালে কী ভাবে এ ধরনের আয়োজন হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

Advertisement

নিজস্ব  প্রতিবেদন

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২০ ০২:৩১
Share:

উধাও সামাজিক দূরত্ব বিধি। পটাশপুরের গোপালপুরে রবিবার প্রসাদ খেতে বসেছেন গ্রামের মানুষ। নিজস্ব চিত্র

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনওরকম সুরক্ষা ও সতর্কতা বিধির তোয়াক্কা না করেই শ’য়ে শ’য়ে মানুষ পাত পেড়ে বসে ভোগপ্রসাদ খেলেন। অথচ এ বিষয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে পুলিশ প্রশাসন। রবিবার পটাশপুর খাড়ান গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে খাড়ানে প্রতি বছর আট দিনের মেলা ও জলসার আসর বসে। করোনার জন্য এবার পুলিশ-প্রশাসন পুজো উপলক্ষে মেলা ও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। রীতি মেনে সামান্য ভাবেই পুজোর আয়োজন করেছিল খাড়ানের এক লক্ষ্মী পুজোকমিটি। বাৎসরিক এই অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীরাও চাঁদা দিয়েছিলেন। তবে করোনা বিধি নিষেধের জন্য পুজোয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রসাদ খাওয়ার আয়োজন করেছিল গ্রামবাসীরা। সেখানেই করোনা সুরক্ষা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, সামাজিক দূরত্বের কোনওরকম তোয়াক্কা না করেই রবিবার কয়েক’শো মানুষ মাঠে পাত পেড়ে প্রসাদ খেলেন। সূত্রের খবর, আশপাশের এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ এদিন প্রসাদ খেতে ভিড় জমিয়েছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বিধি ও মুখে মাস্ক পরার কোনও বালাই ছিল না।

প্রসাদ পরিবেশনকারীদের মধ্যেও সুরক্ষা বিধি মানার কোনও তাগিদ দেখা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের চোখের আড়ালে কী ভাবে এ ধরনের আয়োজন হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পটাশপুর থানার পুলিশের দাবি, প্রসাদ খাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। তবে প্রচুর সংখ্যক মানুষের জমায়েতের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement