প্রতীকী ছবি।
কোথাও যমজ বোন, কোথাও জামাই। বিদেশ-যোগে বিড়ম্বনায় স্থানীয় প্রশাসন।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বিদেশ থেকে অনেকেই দেশে ফিরেছেন। গড়বেতার তিনটি ব্লক এলাকাতেও অনেকে এসেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি গৃহ পর্যবেক্ষণ ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবুও বিদেশ ফেরতদের নিয়ে বিড়ম্বনা কাটছে না প্রশাসনের।
গড়বেতা ১ ব্লকের আমলাগোড়া অঞ্চলের একটি গ্রামে ইতালি থেকে এসেছেন এক দম্পতি। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের মেয়ের বিয়ে হয়েছে ইতালির যুবকের সঙ্গে। ইতালিতে এখন করোনা সংক্রমণ মহামারীর আকার নিয়েছে। ভারতে লকডাউন ঘোষণার কয়েকদিন আগেই জামাইকে নিয়ে মেয়ে চলে এসেছেন গড়বেতার গ্রামে। ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হলেও কিছুই মেলেনি। তবুও তাঁদের সম্পূর্ণ গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাড়ির অন্যদের সঙ্গেও মেলামেশা করতে নিষেধ করা হয়েছে। লকডাউনের আগে আমেরিকা থেকে এসেছেন গড়বেতার এক যুবক। তাঁকেও গৃহ পর্যবেক্ষণের পরে তীক্ষ্ম নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গড়বেতা ১-এর যুগ্ম বিডিও বলেন, ‘‘ইতালি ও আমেরিকা থেকে আসাদের উপর নজর রয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।"
গোয়ালতোড়ে জাপান, দুবাই, সিঙ্গাপুর-সহ ইউরোপ থেকে কয়েকজন এসেছিলেন লকডাউনের বহু আগেই। তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখাও হয়। কয়েকজনের গৃহ পর্যবেক্ষণের মেয়াদ শেষ হলেও এখনই বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। বিডিও সোফিয়া আব্বাস বলেন, ‘‘বিদেশ ফেরতদের উপর আমাদের নজরদারি রয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ ফেরতদের উপর নজর রাখতে।’’
এলাকায় না ফিরেও প্রশাসনের চর্চায় রয়েছেন দুই যমজ বোন। ব্লক প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনা রোডে বাড়ি ওই দুই যমজ বোনের মধ্যে একজন থাকেন ইতালিতে, অন্যজন কলকাতায়। দু'জনেই বিবাহিত। চন্দ্রকোনা রোডে যে পাড়ায় তাঁদের বাড়ি, সেখানকার বাসিন্দারা প্রশাসনে খবর দেন এই বলে যে, ইতালিতে থাকা এক বোন এখানে এসেছেন।
স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, কেউই আসেননি। পরে প্রশাসন কলকাতার বাসিন্দা আর এক বোনের স্বামীকে ফোন করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হন। জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে কলকাতার বাসিন্দা ওই বোন একবার চন্দ্রকোনা রোডের বাড়িতে এসে ঘুরে যান। তাতেই বিভ্রান্তি ছড়ায়। স্বাস্থ্যদফতরের ব্লকের এক অফিসার মানছেন, ‘‘যমজেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল আমাদের।’’
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।