প্রতীকী ছবি।
সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসারে দোকান-বাজার খোলা রাখার নির্দিষ্ট সময় সকাল ৭টা থেকে ১০টা। অথচ বাজার বসে যাচ্ছে ভোর ৫ টা থেকেই। খুলে যাচ্ছে দোকানপাটও। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘ভোরের বাজার’ চলছিল গড়বেতার রাধানগরের পাইকারি আনাজ বাজারে। বুধবার ভোরে সেই বাজারেই হানা দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখে ‘থ’ গড়বেতা ১ বিডিও শেখ ওয়াসিম রেজা-সহ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পুলিশকর্মীরা। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় কাকভোরে খোলা দোকানপাট। ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিনা মাস্কে ঘোরাঘুরি করা লোকজনদের। থুতনিতে মাস্কধারীদের পড়তে হয় ভৎর্সনার মুখে।
রাধানগরের পাইকারি বাজারে প্রতিদিনই দেদার বেচাকেনা চলে আনাজের। গড়বেতা-সহ তার আশেপাশের ব্লকের চাষিরা বাইক, বিভিন্ন গাড়িতে করে কৃষিপণ্য নিয়ে হাজির হন এই বাজারে। পাইকারি ব্যবসাদাররা সেই আনাজ কিনে বাইরে পাঠান। অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় সকাল ৭টার আগের ঘণ্টাখানেক আগের থেকেই বসছিল এই পাইকারি বাজার। খুলে যাচ্ছিল দোকানপাট, খাবারের স্টল, মিষ্টির দোকান। মুখে মাস্ক থাকলেও, দূরত্ব বিধির তোয়াক্কা না করেই বাজার-সহ দোকানগুলিতে ভোর থেকেই জমত ভিড়। গোপনে খবর পেয়ে বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ সেই বাজারে হানা দেন গড়বেতা ১ বিডিও শেখ ওয়াসিম রেজা, যুগ্ম বিডিও শিলাদিত্য জানা-সহ ব্লক প্রশাসনের কয়েকজন প্রতিনিধি। ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।
সূর্য ওঠার আগেই বাজারে মানুষের ভিড় দেখে ‘থ’ হয়ে যান তাঁরা। দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা বন্ধ করে দেন দোকানপাট, নির্দিষ্ট সময়ের আগে পাইকারি বাজার যাতে না বসে, সেই সঙ্গে মাস্ক পরে, দূরত্ব বিধি মেনে বাজারে বেচাকেনা করার নির্দেশ দেন তাঁরা। গড়বেতা স্টেশন আনাজ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিলীপ হোড়-সহ সমিতির কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তাঁরা। বিডিও বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশিকা না মেনে ভোরের বাজারে এত মানুষের ভিড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বাজারে গিয়ে নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে সবাইকে।’’
এ দিন তাঁরা রাধানগর দৈনিক আনাজ বাজার, মাছ বাজার, গড়বেতার সত্যনারায়ণ মোড়ের আনাজ বাজারেও অভিযান চালান। সর্বত্রই সকাল ৭টার নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগের থেকেই বাজার বসে যায়। বিডিও, যুগ্ম বিডিও গিয়ে সেই সব দোকানপাট বন্ধ করান। সরকারি নির্দেশিকা মেনে দোকান-বাজার খোলার নির্দেশ দেন। বিনা মাস্কে বাজারে ঘোরাঘুরি করাদের ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তাঁরা। ব্লক এলাকায় এ রকম অভিযান লাগাতার চলবে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।