—প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণ কমেনি। কিন্তু কমেছিল করোনা পরীক্ষার গতি। দুর্গাপুজোর পরে কমতে কমতে ঘাটাল জুড়ে শিবির করে পরীক্ষা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, সংক্রমিতের সংখ্যা নিয়ে ধন্দে ছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ। পরিস্থিতি দেখে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে ফের শিবির করে করোনা পরীক্ষায় উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন।
ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকে নতুন করে শিবির শুরু হচ্ছে। দাসপুর-১ ব্লক থেকে শুরু হচ্ছে ওই শিবির। এ বার লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। আগের শিবিরগুলিতে দৈনিক দুশো জনের পরীক্ষা করা হত। এ বার সেখানে দৈনিক চারশো জনের পরীক্ষা হবে। ব্লকগুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ব্লকগুলিতে শিবির করে পরীক্ষা চালু ছিল। এবার দৈনিক চারশো জনের পরীক্ষা করা হবে। পঞ্চায়েত গুলিকে প্রচার করে বলা হয়েছে।”
ঘাটাল-দাসপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের সূত্রেই ছড়িয়েছিল করোনা। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করিয়ে দিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ এখনও পুরোমাত্রায় রয়েছে। এখন আবার শীতকাল। ফলে, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু পরিস্থিতি উল্টোকথা বলছে। করোনা নিয়ে আর কেউ তেমন ভাবিতই নয়। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে পথেঘাটে বেশিরভাগ লোক মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাজারে ঠাসা ভিড়। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল চলছে। ফের পুরনো অভ্যাসে ফিরে গিয়েছেন আমজনতা। একই সঙ্গে কমে গিয়েছে নজরদারি।
এ দিকে, করোনা পরীক্ষা এক ধাক্কায় কমে যাওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যাও কমেছে। মহকুমায় গড়ে এখন ১০-১৫ জন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগী ভর্তিও থাকছেন হাতে গোনা। দিন কয়েক ধরে ঘাটালের দুটি কোভিড ওয়ার্ড প্রায় ফাঁকা। সেখানে দু’চারজন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা কমছে কিনা তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ধোঁয়াশা ছিল।
জেলা স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল-সহ মহকুমার পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতালেই করোনা পরীক্ষা হয়। সেখানে মূলত এখন আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়। জরুরি প্রয়োজন না হলে হাসপাতালে র্যাপিড পরীক্ষাও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের প্রকৃত চিত্রটা জানতেই ফের শিবির করে পরীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক রশ্মি কমলের নির্দেশে তৎপর হয়েছে ব্লক প্রশাসন। প্রতি ব্লকে মাসে পাঁচ-ছটি করে শিবির হবে। ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি ব্লক মিলিয়ে দৈনিক চারশো র্যাপিড পরীক্ষা হবে।