প্রতীকী ছবি
তিনদিনের মাথায় ফের মৃত্যু মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে। এই নিয়ে গত দেড় সপ্তাহে এই হাসপাতালে মারা গেলেন মোট পাঁচজন।
সোমবার সকালে মেদিনীপুর শহরতলির মোহনপুরের কাছে ওই করোনা হাসপাতালে মৃতের নাম অমৃত মুদি (৪৮)। তাঁর বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণের শ্যামরাইপুরে। ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। তবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই এ দিন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিজনেরা শুরুতে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সব দিক দেখে মেডিক্যাল থেকে তাঁকে মোহনপুরের কাছে করোনা হাসপাতালে (লেভেল- ২) স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
এই মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বলেই কি তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়? সদুত্তর এড়িয়ে গিরীশচন্দ্রের জবাব, ‘‘করোনা হাসপাতালে যাঁকে পাঠানো হয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখেই পাঠানো হয়।’’ করোনা হাসপাতালের এক আধিকারিক অবশ্য মানছেন, ‘‘ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। তাই মেডিক্যাল থেকে তাঁকে এখানে পাঠানো হয়েছিল।’’ হাসপাতালের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘খড়্গপুর গ্রামীণের ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা হয়েছিল। উনি চিকিৎসায় সাড়া দেননি।’’
হাসপাতালের এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, মেদিনীপুরের এই করোনা হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের নয়, শুধুমাত্র সন্দেহভাজনদেরই রাখা হয়। জানা গিয়েছে, করোনা পরীক্ষার জন্য সোমবারই ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। এলে পদক্ষেপ করা হবে।’’