Coronavirus

গ্রামীণ এলাকাতেও সতর্ক ছিল প্রশাসন

 সর্বত্র লকডাউন না থাকলেও  সোমবার সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় হতে শুরু করেছিল প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ০২:৩৮
Share:

মেদিনীপুর শহরে বাইক আটকাচ্ছে পুলশ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

সকাল পর্যন্ত জানা ছিল, লকডাউন শুধু দুই জেলার চার শহরে (মেদিনীপুর, খড়্গপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম)। মঙ্গলবার দুপুরেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করল, লকডাউন কার্যকর হচ্ছে গোটা রাজ্যে। তা বহাল থাকছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার জানিয়েছেন, সারা দেশে সামগ্রিক লকডাউন চলবে আগামী ২১ দিন।

Advertisement

সর্বত্র লকডাউন না থাকলেও সোমবার সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় হতে শুরু করেছিল প্রশাসন। তবে ভিড় কমছিল না। পরিস্থিতি দেখে সোমবার নারায়ণগড় ব্লক প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, লকডাউন না থাকলেও তৎপর হবে তারা। এক জায়গায় জমায়েত রেয়াত করা হবে না। প্রশাসনের পাশে দাঁড়ায় বেলদা ব্যবসায়ী সমিতি। এরই মাঝে বিদেশ ও ভিন রাজ্য থেকে বাড়িতে ফেরা মানুষের তালিকা প্রকাশ করল কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে ফিরেছেন তিনজন। ব্লক প্রশাসন তাঁদের গৃহ নজরবন্দি থাকতে বলেছে। সোমবার পাঁচটার পর থেকে ওড়িশা থেকে আসা গাড়ি আটকে দিয়েছে দাঁতন পুলিশ, প্রশাসন। দাঁতন ২ ব্লকে সম্প্রতি আটজন বিদেশ থেকে ফিরেছেন। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ইতালি থেকে দুজন, ওমান, দুবাই, বাংলাদেশ, রিয়াদ থেকে ফিরেছেন তাঁরা।

প্রথম পর্যায়ে গড়বেতা, গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা রোড ব্লককে লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। ফলে এই জায়গাগুলির হাটেবাজারে, দোকানপাটে লোকসমাগম হয়। দুপুরে লকডাউন ঘোষণা করায় স্বস্তিতে কৃষিপ্রধান এই এলাকার লোকজন ও বিভিন্ন সংগঠন। রাতে গড়বেতা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুব্রত মহাপাত্র বলেন, ‘‘লকডাউন ঘোষণা হোক আমরাও চাইছিলাম, এতে ঝুঁকি এড়ানো যাবে, একে আমরা সমর্থনও করছি।’’

Advertisement

এ দিন বিকেল থেকে ঘাটাল মহকুমার চার পুরসভা এবং গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও লক ডাউন শুরু হয়েছে। তবে এ দিন সকাল থেকে ঘাটাল ব্লক সহ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাজার হাট ছাড়া অনান্য দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চন্দ্রকোনা, ক্ষীরপাই, ঝাঁকরা, সোনাখালি, দাসপুর, নাড়াজোল সহ সবর্ত্রই বাজারে ভিড় পাতলা ছিল। মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, ঘোষণা না হলেও প্রচার চলছিল করে গ্রামীণ এলাকায়। পুলিশের তরফে শুরু হয়েছিল অভিযানও।

এ দিন রাজ্য জুড়ে লকডাউন ঘোষণার পরে চায়ের দোকান, খাবারের দোকানে বন্ধ করে বিডিওরাও রাস্তায় নামেন। দোকান খোলা কিংবা রাস্তায় জটলা দেখলেই পুলিশ মারধোর ফাঁকা করে দেয় এলাকায়। চন্দ্রকোনা-২ বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ী বলেন, “মানুষের হুঁশ কোনওদিন সময়ে ফেরে না। তাই মঙ্গলবার ঘোষণার পরই চায়ের দোকান বন্ধ করে দোওয়া হয়।” ক্ষীরপাইয়ের বিডিও অভিষেক মিশ্রের কথায়, “মঙ্গলবার সকাল থেকেই কার্যত ব্লকের একাংশ লকডাউন পরিস্থিতি ছিল। বিকেল থেকে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে সোমবার রাত এবং মঙ্গলবার দুদিনে পযায়ক্রমে দু’তিনটি বাসে করে নেপাল থেকে ঘাটাল-দাসপুরে ফেরেন শতাধিক মানুষ। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তারপর নির্দিষ্ট ভাবে হোম কোয়ারান্টিনে রাখার পরামর্শ দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement