Railway

করোনায় বাড়তি সতর্ক রেল 

দিন দু’য়েক আগে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৫
Share:

খড়্গপুর স্টেশনে কর্তব্যরত িটকিট পরীক্ষকদের অনেকেই এখনও মাস্ক পাননি। শনিবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে উদ্যোগী হল খড়্গপুর রেল ডিভিশন। দেশ-বিদেশের বহু যাত্রী ট্রেনে সফর করেন। তাই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে রেলের কামরাতেও। তাই বাড়তি সতর্ক রেল।

Advertisement

শনিবার খড়্গপুর রেল ডিভিশন সূত্রে এমন খবরই জানানো হয়েছে। দিন দু’য়েক আগে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনে টিকিট পরীক্ষক, বুকিং ক্লার্ক, স্টেশন ম্যানেজার-সহ রেলকর্মীদের ‘মাস্ক’ দিতে চলেছে রেল। মূলত যাত্রীদের সঙ্গে যে রেলকর্মীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডিভিশনে ট্রেনে কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকদের একাংশকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করা হয়েছে। মাস্ক দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের কর্মীদেরও। এরপর ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনের কর্মীকে মাস্ক দেওয়া হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি চলবে যাত্রীদের উপর নজরদারিও। করোনার উপসর্গ রয়েছে দেখা গেলে দ্রুত রেল হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেকে যাত্রীকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চালু করা হয়েছে করোনা সংক্রান্ত একটি হেল্পলাইন নম্বরও।

খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “দিন দু’য়েক ধরেই আমরা করোনা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেছি। যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এমন রেল কর্মীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের ওপরও আরপিএফ ও টিকিট পরীক্ষক দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ থাকলে ওই যাত্রীকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।” আপাতত খড়্গপুর স্টেশনের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা দ্রুত চালু করতে চলেছে রেল ডিভিশন। কারণ এই স্টেশন হয়েই দেশ-বিদেশের বহু যাত্রী দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন।

Advertisement

খড়্গপুর স্টেশনের ম্যানেজার দেবেন্দ্রকুমার পণ্ড বলেন, “স্টেশনের কর্মী, টিকিট পরীক্ষকদের মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেও মাস্ক পরে দায়িত্ব সামলাচ্ছি। তা ছাড়া যাত্রীদের জন্যও কয়েকটি মাস্ক আমার কাছে রয়েছে।” অবশ্য এখনও পর্যন্ত স্টেশনে কর্তব্যরত অধিকাংশ বুকিং কাউন্টার কর্মী ও টিকিট পরীক্ষকেরা মাস্ক ও স্যানিটাইজার না পাওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “আসলে বাজারে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে যেটুকু মাস্ক পেয়েছিলাম তা হাসপাতালের কর্মী ও ট্রেনে কর্তব্যরত কর্মীদের দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement